রাতে ফল না খাওয়াই শ্রেয়। ছবি: সংগৃহীত।
রোগা হতে হবে বলে অনেকেই কড়া ডায়েট করেন। ভাত খাওয়া বন্ধ করে দেন। সারা দিনে খাবার বলতে শুধু ডিটক্স পানীয় কিংবা ফল। একটানা এ রকম পাখির মতো খেয়ে ওজন না কমলেও, শরীর যে দুর্বল হয়ে পড়ে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। ফল শরীরের যত্ন নেয়। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে। তাই বলে খাবার না খেয়ে শুধু ফল খাওয়া কোনও কাজের কথা নয়। রাতে হালকা খাবার খাবেন বলে অনেকেই ফল খেয়ে শুয়ে পড়েন। প্রোটিন, ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেটের বদলে শুধু ফল খেয়ে থাকার অভ্যাস কি স্বাস্থ্যকর?
পুষ্টিবিদদের উত্তর অবশ্য, না। ফল যতই স্বাস্থ্যকর হোক, শুধু ফল খেয়ে রাত্রিযাপন করা কখনও উচিত নয়। তাতে আবার হিতে বিপরীত হতে পারে। কারণ ফলে স্বাস্থ্যকর উপাদান থাকলেও তা প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেটের বিকল্প হতে পারে না। ফল হালকা মনে করে রাতে খেলে বদহজমের সমস্যা হতে পারে। তা ছাড়া অনেক ফলেই অ্যাসিড উপাদান থাকে। যা গ্যাস-অম্বলের কারণ হয়ে উঠতে পারে। তাই রাতে ফল খাওয়া ঠিক হবে না। তা ছাড়া ফলে প্রাকৃতিক শর্করাও আছে, রাতে খেলে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যায়। পুষ্টিবিদদের মতে, পরিমাণে অল্প হলেও রাতে শক্ত খাবার খাওয়া জরুরি। প্রোটিন, ফ্যাট আছে এমন খাবার খেতে হবে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাতে পরিমাণে কম খাওয়াটা জরুরি। কিন্তু তা যেন স্বাস্থ্যকর হয়। রাতের খাবারে দালিয়া, পোহা, সুজির বদলে অনায়াসে ডাল, রুটি, সব্জি খেতেই পারেন। শাকসব্জি শরীরের প্রয়োজনীয় শক্তির উৎস। তাই যদি দালিয়া বা সুজিও খান তা সব্জি দিয়ে বানাতে পারেন। ওজন কমানোর পাশাপাশি শরীর ভিতর থেকে সুস্থ রাখাটাও জরুরি। নিয়মিত স্যুপ বা তরল খাবার খাওয়ার প্রবণতা শরীর ভিতর থেকে দুর্বল করে তোলে। মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব, কাজের গতি হারানোর মতো কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।