ছবি- প্রতীকী
বাইরের খাবার খাওয়ার প্রবণতা, প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়ার ঝোঁক, শরীরচর্চা না করা— এমন কয়েকটি কারণে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা দেখা দেয়। তবে সম্প্রতি ‘ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস’-এর একটি গবেষণা বলছে, ঘুমের ঘাটতিও কিন্তু ফ্যাটি লিভারের কারণ হতে পারে।
গবেষকরা বলছেন, যাঁদের ঘুম কম হয়, তাঁদের ফ্যাটি লিভারের মতো সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা বেড়ে যায় ২৯ শতাংশ। রাতে জেগে থাকার অভ্যাস রয়েছে অনেকেরই। এক জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের সারা দিনে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম জরুরি। ঠিকঠাক ঘুম না হলে শরীরেও বাসা বাঁধে বিভিন্ন রোগ। চিকিৎসকদের মতে, তেমনই একটি হল ফ্যাটি লিভার। কম ঘুম প্রভাব ফেলে পরিপাক ক্রিয়ায়। ঠিক করে হজম না হলে ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থেকেই যায়।
উচ্চ রক্তচাপ থাকলেও কিন্তু ফ্যাটি লিভার হওয়ার হওয়ার আশঙ্কা অমূলক নয়। ছবি- প্রতীকী
ঘুম ছাড়াও ফ্যাটি লিভার হতে পারে আরও অনেক কারণে। ডায়াবিটিস, স্থূলতার মতো হরমোনজনিত নানা অসুখেও ফ্যাটি লিভারের প্রবণতা বাড়ে। আবার কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসাবেও ফ্যাটি লিভার দেখা দেয়। উচ্চ রক্তচাপ থাকলেও কিন্তু ফ্যাটি লিভার হওয়ার হওয়ার আশঙ্কা অমূলক নয়।
ফ্যাটি লিভারের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে দৈনন্দিন জীবনেও আনতে হবে বদল। মাত্রাতিরিক্ত মদ্যপানের অভ্যাস ডেকে আনে স্থূলতার সমস্যা। আর স্থূলতার হাত ধরে যে সব সমস্যা ঘাড়ে শ্বাস ফেলে। তার মধ্যে অন্যতম হল ফ্যাটি লিভার। সময় মতো চিকিৎসা না করালে এই অসুখের হাত ধরে ‘সিরোসিস অব লিভার’-ও হতে পারে। বড় কোনও রোগের ঝুঁকি এড়াতে শরীরচর্চা করা প্রয়োজন। বাইরের খাবার খাওয়ার প্রবণতাও নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। চর্বিযুক্ত মাছ-মাংস রোজরে খাদ্যতালিকায় না রাখাই ভাল। পরিবর্তে বেশি করে খান শাকসব্জি ও ফলমূল খান।