আর্থারাইটিসও হাঁটুতে ব্যথার বড় একটি কারণ। ছবি- সংগৃহীত
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যে ধরনের ক্রনিক সমস্যাগুলি হানা দেয়, তার মধ্যে অন্যতম হাঁটু ব্যথা। বসলে উঠতে পারেন না, দাঁড়ালে বসতে পারেন না— অনেকেই এই পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যান। বাড়ির বয়স্ক সদস্যদের চলাফেরা লক্ষ করলেই তা বোঝা যাবে। বয়স বাড়লে শরীরে ক্যালশিয়ামের পরিমাণ ধীরে ধীরে কমতে থাকে। ক্যালশিয়ামের ঘাটতি হাড় ক্ষয়ের অন্যতম কারণ। তা ছাড়া আর্থারাইটিসও হাঁটুতে ব্যথার বড় একটি কারণ।
চিকিৎসকদের মতে, নিয়ম করে শরীরচর্চার অভ্যাস থাকলে এ ধরনের ব্যথা-বেদনা কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে থাকে। শরীরচর্চা করার মতো শারীরিক শক্তি না থাকলেও অন্তত প্রতি দিন এক বার করে হাঁটা যায়, সে ক্ষেত্রেও মিলবে সুফল। হাঁটুতে ব্যথা হলে অতি অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন। তবে ঘরোয়া উপায়ে হাঁটুর ব্যথা কমাতে ভরসা রাখতে পারেন হেঁশেলের তিন মশলায়।
হলুদের কারকিউমিন উপাদান শরীরের অনেক ব্যথা-যন্ত্রণার উপশম দেয়। ছবি- সংগৃহীত
হলুদ
হলুদে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, যা যে কোনও ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও হলুদের কারকিউমিন উপাদান শরীরের অনেক ব্যথা-যন্ত্রণার উপশম দেয়। হলুদের ব্যথানাশক গুণ রয়েছে, যা স্বাভাবিক চলাফেরা করতে সাহায্য করবে। হাঁটুর ব্যথা কমাতে খেতে পারেন আদা-হলুদ চা। স্বস্তি পাবেন।
মেথি
অনেক জ্বালা-যন্ত্রণার অন্যতম উপশম মেথি। এর মধ্যে রয়েছে উচ্চমাত্রার অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট উপাদান। যা ব্যথা কমিয়ে স্বস্তি দেবে দ্রুত। হাঁটুর ব্যথায় কষ্ট পেলে প্রতি দিন নিয়ম করে উষ্ণ গরম জলে মেথির বীজ ভিজিয়ে খেতে পারেন। কিংবা সারা রাত ভিজিয়ে রাখা মেথির জল সকালে খালি পেটে খেলেও অনেক উপকার পাবেন।
দারচিনি
রান্নার স্বাদ বাড়িয়ে তোলা ছাড়াও দারচিনি শরীর সুস্থ রাখতেও সহায়তা করে। দারচিনি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান হাঁটুর ব্যথা নিয়ন্ত্রণে রাখে। আর্থারাইটিসের সমস্যা থাকলে দারচিনি বেশ কার্যকর। সকাল কিংবা বিকেলের চায়ে দারচিনি মিশিয়ে খেতে পারেন। ব্যথা কমবে।