ওজন কমানোর সময়ে ভাত বাদ পড়ে সবার আগে। কিন্তু ওজন ঝরানো হোক বা অন্য কিছু, পুষ্টিকর খাবার খুব জরুরি।
অনেকেই ভাবেন কম খেলে ওজন কমবে। তাই প্রায় সব ধরনের খাওয়াদাওয়া ছেড়ে বসেন। ভাত বাদ পড়ে সবার আগে। কিন্তু ওজন ঝরানো হোক বা অন্য কিছু, পুষ্টিকর খাবার খুব জরুরি।
ওজন কমানোর সময়ে বিশেষ ভাবে পুষ্টির দিকে জোর দিতে হবে। তার জন্য জরুরি রকমারি খাবার। এ সময়ে ভারতীয় খাবার বাদ দিলে পড়তে পারেন বিপদে। কিন্তু জানতে হবে কোন কোন ভারতীয় খাবার সাহায্য করতে পারে ওজন কমার সময়েও।
১) ডাল-ভাত: দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যে ডাল-ভাত খাওয়ার চল, তা কিন্তু এমনি নয়। ডাল এবং ভাতে আছে রকমারি উপাদান। কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট, প্রোটিন, ফাইবার— এই খাবারের সঙ্গে সব যায় শরীরে। ডালের সঙ্গে শরীরে ঢোকে রকমারি ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ। ক্যালশিয়াম এবং আয়রনে ভরপুর ডাল। আর ভাতে কার্বোহাইড্রেট থাকে ঠিকই, সঙ্গে থাকে ফাইবারও। যা কি না বিপাকহার বাড়াতে সাহায্য করে। আর বিপাকক্রিয়া ঠিক থাকলে ওজন কমানো সহজ হয়।
ইডলিতে ক্যালোরির মাত্রা কম। আর তার সঙ্গে যদি রকমারি সব্জি দেওয়া এক বাটি সম্বর খাওয়া যায় তা হলে ডাল ও আনাজের নানা গুণ পাবে শরীর।
২) ইডলি: ভাত-ডাল তো আর সারা দিনের সঙ্গী হতে পারে না। এক বার না হয় খেলেন। তা ছাড়া খেতে পারেন ইডলি-সম্বরও। আগে বাঙালিদের মধ্যে ইডলি খাওয়ার চল ছিল না। কিন্তু এখন পাড়ায় পাড়ায় রয়েছে ইডলির দোকান। ইডলিতে ক্যালোরির মাত্রা কম। আর তার সঙ্গে যদি রকমারি সব্জি দেওয়া এক বাটি সম্বর খাওয়া যায় তা হলে ডাল ও আনাজের নানা গুণ পাবে শরীর। পুষ্টির অভাব হবে না। পেট ভরবে। আবার অতিরিক্ত ক্যালোরিও ঢুকবে না।
৩) চিঁড়ের পোলাও: সকাল কিংবা বিকেলে খিদে পেলে এটিও ঝামেলাহীন সঙ্গী হতে পারে। চিঁড়েতে ভিটামিন, আয়রন, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট প্রচুর পরিমাণে থাকে। আবার ক্যালোরির মাত্রা বেশ কম। ফলে ওজন বাড়বে না। পেট ভর্তি থাকবে। ফাইবার বিপাক হার বাড়াবে। সঙ্গে উপস্থিত প্রোটিন ও ফ্যাট কর্মশক্তিও বাড়াবে।