চিংড়ি মাছের মুইঠা খেয়েছেন কখনও?
কথায় আছে মাছে-ভাতে বাঙালি। মাছ না খেলে বাঙালির রসনাতৃপ্ত হয় না। কিন্তু তা বলে কি ভাতের সঙ্গে খালি মাছের ঝোল! একেবারেই তা নয়। আর মাছের নানা বাহারি রান্নার ক্ষেত্রে চিংড়ি সবচেয়ে এগিয়ে। তবে চিংড়ির মালাইকারি কিংবা ঝাল তো প্রায়ই খান, চিংড়ি মাছের মুইঠা খেয়েছেন কখনও?সাধারণত চিতলের মুইঠা নামটার সঙ্গে আমরা বেশি পরিচিত! শুনেই জিভে জল চলে এল তো? কিন্তু এই মাছে এত কাঁটা থাকার কারণে বাড়িতে এ পদ বানানো বেশ ঝক্কির কাজ। তাই চিতল নয়, এ বার চিংড়ি দিয়েই বানিয়ে ফেলুন মুইঠা। রইল রেসিপির হদিস।
উপকরণ:
মুইঠার জন্য
চিংড়ি মাছ: ৫০০ গ্রাম
আলু সেদ্ধ: ১৫০ গ্রাম
ধনেপাতা কুচি: ২ চামচ
রসুন বাটা: ১ চামচ
লঙ্কা গুঁড়ো: আধ চামচ
হলুদ গুঁড়ো: আধ চামচ
লেবুর রস: ১ চামচ
কাঁচালঙ্কা বাটা: ১ চামচ
নুন: স্বাদমতো
গ্রেভির জন্য
পেঁয়াজ কুচি: ১ কাপ
রসুন: ৬-৭ কোয়া
আদা টুকরো: আধ ইঞ্চি
কাজু: ৮-১০টি
টম্যাটো: ১টি
গোটা গরমমশলা: পরিমাণমতো
তেজপাতা: ১টি
লঙ্কা গুঁড়ো: ১ চামচ
হলুদ গুঁড়ো: আধ চামচ
ধনে গুঁড়ো: ১ চামচ
নারকেলের দুধ: ১ কাপ
নুন ও চিনি: স্বাদমতো
সর্ষের তেল: ৫ চামচ
প্রতীকী ছবি
প্রণালী:
চিংড়ি মাছ খোসা ছাড়িয়ে পরিষ্কার করে নিন। খেয়াল রাখবেন, যেন জল না থাকে। এ বার মাছগুলি বেটে নিন। একটি পাত্রে মাছের মিশ্রণের সঙ্গে একে একে আলু সেদ্ধ, ধনেপাতা কুচি, রসুন বাটা, লঙ্কা গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো, লেবুর রস, কাঁচালঙ্কা বাটা ও নুন মিশিয়ে নিন। এ বার একটি প্যানে সামান্য তেল নিয়ে তাতে একে একে পেঁয়াজ কুচি, রসুন, আদা টুকরো, কাজু ও টম্যাটো দিয়ে ভাল করে ভেজে নিন। মিশ্রণটি ঠান্ডা হয়ে গেলে বেটে নিন। এ বার কড়াইতে তেল গরম করে তাতে তেজপাতা ও গোটা গরমমশলা ফোড়ন দিয়ে বাটা মশলা দিয়ে দিন। একটু নাড়াচাড়া করে সব রকম গুঁড়ো মশলা দিয়ে ভাল করে কষিয়ে নিন। তেল ছেড়ে এলে নারকেলের দুধ দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। এ বার বেটে রাখা চিংড়ি মাছের মিশ্রণ বড়ার মতো গড়ে নিয়ে ঝোলে ছেড়ে দিন। মিনিট পাঁচেক ঢাকা দিয়ে ফুটতে দিন। গ্যাসের আঁচ বন্ধ করে ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে দিন। ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন চিংড়ি মাছের মুইঠা।