সামগ্রিক স্বাস্থ্য ভাল রাখতে দৈনন্দিন জীবনে কয়েকটি নিয়ম মেনে চলা জরুরি। ছবি- সংগৃহীত
শরীর সুস্থ রাখা নিয়ে অনেকেই সচেতন। অথচ দাঁতের যত্নে অবহেলা থেকেই যায়। মুখের স্বাস্থ্য কিন্তু শরীরের সার্বিক সুস্থতার ভিত্তি। তাই দাঁতের যত্ন নিতে ভুললে চলবে না। কারণ, হালের গবেষণায় প্রমাণ মিলেছে যে, দাঁতের স্বাস্থ্যের সঙ্গে আনুষঙ্গিক নানা রোগের যোগ রয়েছে।
গবেষকরা জানিয়েছেন, ভারতে প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষই দাঁতের কোনও না কোনও সমস্যায় ভোগেন। তাঁদের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি মানুষ এই সম্পর্কে বিন্দুমাত্র সচেতন নন। দাঁত নষ্ট হয়ে গেলে তা তুলে ফেলা ছাড়াও যে দাঁতের যত্ন নিতে হয়, সে বিষয়ে ওয়াকিবহাল নন অনেকেই।
চিকিৎসকেরা বলেন, সবচেয়ে আগে এ কথা জানা জরুরি যে, মুখগহ্বর হল শরীরের প্রবেশদ্বার। মুখের মধ্যে কোনও সমস্যা হলে তার প্রভাব শরীরের অন্যান্য অঙ্গে পড়তে বাধ্য। যেমন দাঁতের সঙ্গে হার্টের রোগের সম্পর্ক রয়েছে। কারণ, দাঁতে ক্ষয় সৃষ্টিকারী ব্যাক্টেরিয়াগুলি রক্তবাহিকার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ধমনীতে ‘প্লাক’ তৈরি করে। যার ফলে হৃদ্যন্ত্রে রক্ত চলাচল বাধাপ্রাপ্ত হয়। পাশাপাশি, দাঁত ভাল না থাকলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করাও সম্ভব হয় না। ‘জার্নাল অফ অবস্টেট্রিক্স অ্যান্ড গাইনোকলজি ইন্ডিয়া’র করা একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, দাঁতের সমস্যা রয়েছে এমন অন্তঃসত্ত্বাদের প্রসব সংক্রান্ত জটিলতায় ভোগার আশঙ্কাও বেশি। তাই এই সময়ে বেশি করে দাঁতের যত্ন নিতে বলেন চিকিৎসকেরা।
দাঁত সুস্থ রাখতে প্রয়োজন বাড়তি সতর্কতার। প্রতি দিন দু’বেলা দাঁত মাজার পাশাপাশি খাওয়ার পরে মুখ কুলকুচি করতে হবে। নয়তো খাবারের টুকরো দাঁতের ফাঁকে আটকে পরবর্তী কালে সমস্যা দেখা দিতে পারে। সঠিক পরিচর্যার অভাবে দাঁতের সমস্যায় ভুগছেন, এমন মানুষের সংখ্যাও কম নয়। সামগ্রিক স্বাস্থ্য ভাল রাখতে দৈনন্দিন জীবনে কয়েকটি নিয়ম মেনে চলা এবং নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।