টম্যাটো খেলে ওজন কমবে? ছবি: সংগৃহীত।
পুজো আসতে আর দু’মাসও নেই। এখন থেকেই দর্জির দোকানে লম্বা লাইন। কিন্তু আরও একটু রোগা হওয়ার আশায় এখনও পর্যন্ত পোশাকের মাপ দিতে পারছেন না অনেকেই। শরীরচর্চা, ডায়েট জারি আছে। সঙ্গে ডিটক্স পানীয়ও যোগ হয়েছে। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, এ সবের সঙ্গে যদি ডায়েটে একটু টম্যাটো যোগ করা যায়, তা হলে উপকারই হবে।
কী কী আছে টম্যাটোতে?
লাইকোপেন, পটাশিয়াম, আয়রন, ফোলেট এবং ভিটামিন সি-এর মতো উপাদান। এর পাশাপাশি রয়েছে বিটা-ক্যারোটিনের মতো শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। এই সব উপাদান পরোক্ষ ভাবে হলেও মেদ ঝরাতে সাহায্য করে।
ওজন ঝরানোর ক্ষেত্রে টম্যাটো গুরুত্বপূর্ণ কেন?
১) টম্যাটোতে ক্যালোরি প্রায় নেই বললেই চলে। তাই টম্যাটো খেলে শরীরে অতিরিক্ত ক্যালোরি প্রবেশ করার ভয় থাকে না।
২) এই সব্জিতে ফাইবারের পরিমাণ বেশি। ‘বায়োলজি’ জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, এই ধরনের সহজপাচ্য ফাইবার অনেক ক্ষণ পর্যন্ত পেট ভর্তি রাখে।
৩) টম্যাটোর মধ্যে জলের ভাগ বেশি। তাই শরীরে জলের ঘাটতি পূরণ করতেও সাহায্য করে এই সব্জি। বিপাকহারের জন্যও ভাল।
৪) বিপাকহার বাড়িয়ে তুলতে ভিটামিন সি এবং পটাশিয়ামের মতো খনিজ গুরুত্বপূর্ণ। এই দু’টিই রয়েছে টম্যাটোতো।
৫) রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে পটাশিয়ামের মতো খনিজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শরীরে তরলের সমতা বজায় রাখতেও সাহায্য করে এই খনিজটি।
কারা টম্যাটো খাবেন না?
১) যাঁদের শরীরে অম্লের পরিমাণ বেশি, সাধারণ বাড়ির খাবার খেয়েও গলা-বুক জ্বালা করে, তাঁদের পক্ষে টম্যাটো ক্ষতিকর।
২) টম্যাটো খেলে অনেকেরই ত্বকে র্যাশ, চুলকানির সমস্যা দেখা দেয়। তাঁরা অবশ্যই এই সব্জি এড়িয়ে চলবেন।
৩) যাঁদের কিডনির সমস্যা রয়েছে, তাঁরাও টম্যাটো এড়িয়ে চলবেন। কারণ, এই সব্জিতে পটাশিয়ামের পরিমাণ বেশি। অতিরিক্ত পটাশিয়াম আবার কিডনির জন্য খারাপ।
৪) বেশি টম্যাটো খেলে পেটফাঁপা, গ্যাস কিংবা হজমের গোলমাল হতেই পারে। কারণ, টম্যাটোতে ফাইবারের পরিমাণ বেশি। যাঁদের ‘আইবিএস’-এর সমস্যা রয়েছে তাঁরাও সাবধান।
৫) অনেকেই জানেন, ইউরিক অ্যাসিড বাড়তির দিকে থাকলেও টম্যাটো খাওয়া যায় না। তা ছাড়া আর্থ্রাইটিসের মতো সমস্যাও বাড়াবাড়ি আকার ধারণ করতে পারে।