কোন টোটকায় নিয়ন্ত্রণে থাকবে ‘ডিজিটাল আই স্ট্রেন’? ছবি: সংগৃহীত।
ডিজিটাল যুগে ল্যাপটপ, ফোন ব্যবহারে রাশ টানতে বলা খানিকটা ‘উলুবনে মুক্তো ছড়ানোর’ মতোই। কাজ, পড়াশোনা, বিনোদন— সবই এখন ডিজিটাল যন্ত্র-নির্ভর। সে বিষয়ে চিকিৎসকেরা বার বার সতর্ক করলেও অনেক ক্ষেত্রেই মানুষ অপারগ। অতিরিক্ত ফোন বা ল্যাপটপ দেখলে চোখের উপর চাপ পড়া স্বাভাবিক। চোখ লাল হয়ে যাওয়া, চোখ থেকে জল পড়া, জ্বালা করা কিংবা দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হয়ে যাওয়ার মতো উপসর্গ দেখা দেয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে ‘ডিজিটাল আই স্ট্রেন’ বলা হয়।
চোখের চিকিৎসকেরা বলছেন, এই ধরনের সমস্যা শুধু মোবাইল বা ল্যাপটপে চোখ রাখলেই হয় না। দীর্ঘ ক্ষণ এক ভাবে পড়াশোনা কিংবা সেলাইয়ের কাজ করলেও এমন সমস্যা দেখা দিতে পারে। কারও কারও ক্ষেত্রে দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হয়ে যায়। এমনটা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। পাশাপাশি, কয়েকটি নিয়ম মেনে চললে চোখের উপর এসে পড়া বাড়তি চাপ লাঘব হবে।
১) চোখ ভাল রাখতে ২০-২০-২০ রুল মেনে চলতে হবে:
মাথায় রাখতে হবে, একটানা বই বা ডিজিটাল পর্দায় চোখ রাখা যাবে না। পড়া বা কাজের ফাঁকে ২০ মিনিট অন্তর ২০ ফুট দূরত্বে থাকা কোনও একটি বস্তু ২০ সেকেন্ড ধরে দেখতে হবে।
২) চোখের আর্দ্রতা বজায় রাখতে হবে:
ত্বক যেমন শুষ্ক হয়ে যায়, চোখও তেমন ভাবে শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। চোখ থেকে জল পড়ে লাল হয়ে যেতে পারে। সারা ক্ষণ চোখে অস্বস্তি হতে পারে। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো চোখে ‘লুব্রিকেটিং আই ড্রপ’ দিতে থাকলে এই ধরনের সমস্যা অনেকটা রুখে দেওয়া যায়।
৩) বার বার চোখের পলক ফেলা:
ঘন ঘন চোখের পলক ফেলার অভ্যাসেও চোখ আর্দ্র থাকে। চোখে কোনও রকম অস্বস্তি হলে বেশির ভাগ মানুষ প্রথমেই চোখ রগড়ে ফেলেন। তাতে উল্টে চোখের ক্ষতি হয়। তার চেয়ে বরং বার বার চোখের পলক ফেলা যেতে পারে।
৪) গরম জলের সেঁক:
চোখে শুকনো কাপড় বা হিটপ্যাডের সেঁক নেওয়ার চেয়ে গরম জলের সেঁক নেওয়া ভাল। উষ্ণ জলে পরিষ্কার, সুতির কাপড় ভিজিয়ে ভাল করে নিংড়ে নিন। তার পর ওই কাপড়টি চোখের উপর চেপে ধরে রাখুন মিনিট দশেক। এই ভাবে দিনে অন্ততপক্ষে দু’বার চোখে গরম সেঁক নিতে হবে।