weight Loss Tips

অফিসের কাজ সামলাতে গিয়ে স্বাস্থ্যের প্রতি অবহেলা করছেন? ফিট থাকবেন কোন উপায়ে?

অফিসের কাজের সঙ্গে কোনও রকম আপস না করে কী ভাবে ফিট থাকবেন, ভাবছেন? দিনের কয়েকটি অভ্যাসে বদল আনলেই হবে মুশকিল আসান। তবে ধারাবাহিকতা বজায় রাখলে তবেই পাবে সঠিক ফল। জেনে নিন, জিমে না গিয়েও কী ভাবে ফিট থাকবেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ অগস্ট ২০২৪ ১২:৫৫
Share:

অফিসে কাজ করেও কী ভাবে স্বাস্থ্যের জন্য সময় বার করবেন? ছবি: সংগৃহীত।

ফিট থাকতে গেলে জিমে যেতে হবে। আর জিমে গিয়ে শরীরচর্চা করার জন্য চাই সময়। কর্মব্যস্ত জীবনে রোজ অফিসে বেরোনোর তাড়ায় জিমে যাওয়ার জন্য সময় বার করতে পারেন না অনেকেই। খরচ করে জিমে ভর্তি হলেও খুব বেশি দিন জিমে যাওয়া সম্ভব হয় না অনেকের। জিমে না গিয়েও কিন্তু ফিট থাকা যায়, এমনকি রোগাও হওয়া যায়। এর জন্য জীবনে কয়েকটি বদল আনা জরুরি। অফিসের কাজের সঙ্গে কোনও রকম আপস না করে কী ভাবে ফিট থাকবেন, ভাবছেন? তবে এক মাস বদল আনলেন, কিন্তু তার পরেই আগের মতো অনিয়ম শুরু করে দিলেন, এমনটা করলে চলবে না। ধারাবাহিকতা বজায় রাখলে তবেই পাবে সঠিক ফল। জেনে নিন, জিমে না গিয়েও কী ভাবে ফিট থাকবেন।

Advertisement

১) ওজন বাড়লেই শরীরে হাজারটা রোগ বাসা বাঁধতে শুরু করে। তাই ফিট থাকতে নিয়ম করে শরীরচর্চা কিন্তু করতেই হবে। জিমে গিয়ে ঘাম ঝরাতে না চাইলে অফিস থেকে ফিরে শরীরচর্চার জন্য অন্তত আধ ঘণ্টা সময় বরাদ্দ রাখুন। বাড়িতেই কার্ডিয়ো ব্যায়াম করতে পারেন। এ ছাড়া, নিয়ম করে হাঁটাহাঁটি, সাইক্লিং, জগিংও করতে পারেন। ওজন কমাতে যোগাসনেও ভরসা রাখতে পারেন। শরীর যত সচল থাকবে, হজম প্রক্রিয়াও ততই ভাল হবে, ওজনও বশে থাকবে।

২) ডায়েট থেকে চিনি বা মিষ্টি একেবারেই বাদ দিয়ে দিন। ওজন বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হল শর্করা। ডায়েটে শর্করার মাত্রা কমিয়ে আনলেই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। ফলে সকালে চিনি দেওয়া দুধ চা, দুপুরে খাওয়ার পর মিষ্টিমুখ, রাত জেগে সিনেমা দেখার সময়ে কেক, চকোলেট খাওয়া— এই সব অভ্যাস বন্ধ করুন।

Advertisement

৩) ডায়েটে ফাইবার বেশি করে রাখতে হবে। খাবারে ফাইবারের পরিমাণ বাড়ালে হজম প্রক্রিয়া ভাল হয়। খাবার ভাল হজম হলে মেদ কম জমে শরীরে। ডায়েটে কার্বোহাইড্রেট আর ফ্যাটের মাত্রা কমিয়ে প্রোটিন বেশি করে রাখুন।

প্রাতরাশে ফাঁকি দিলে কিন্তু চলবে না। ছবি: শাটারস্টক।

৪) প্রাতরাশে ফাঁকি দিলে কিন্তু চলবে না। একেবারে পেটভর্তি করে খাবার না খেয়ে, সারা দিন অল্প করে খাবার বার বার খাওয়ার অভ্যাস করুন। রাতের খাওয়া ৮টার আগে সেরে ফেলতে পারলে খুব ভাল। তা না করতে পারলে খাওয়াদাওয়ার অন্তত দু’ থেকে তিন ঘণ্টা পর ঘুমোতে যান।

৫) মানসিক চাপ বাড়তে দিলে চলবে না। আর মানসিক চাপ কমাতে ঘুম ভীষণ জরুরি। রাত জাগার অভ্যাস থাকলে তাতে বদল আনুন। শরীর চাঙ্গা রাখতে দিনে সাত থেকে আট ঘণ্টার ঘুম পূরণ করতেই হবে। রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে সকালে তাড়াতাড়ি ওঠার অভ্যাস শুরু করুন। সকালটা তাড়াতাড়ি শুরু করলে দিনে অনেকটা সময় নিজের জন্য বরাদ্দ করতে পারেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement