ছবি: সংগৃহীত
বছরের অন্যান্য ঋতুর তুলনায় শীতকালে ঠান্ডা লাগার প্রবণতা বেশি থাকে। বছরের এই সময়ে অধিকাংশ মানুষই সাধারণ সর্দি-কাশি-জ্বরে ভুগে থাকেন। বিশেষ করে এই ক্রমবর্ধমান করোনা পরিস্থিতিতে হাল্কা সর্দি-কাশিতেও অনেকে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন। তবে আগে থেকে সচেতন থাকাটা ভীষণ জরুরি। যাতে শীতকালীন এই শারীরিক সমস্যাগুলি কাছে ঘেঁষতে না পারে। শীতকালে সর্দি-কাশি প্রতিরোধে এবং নিজেকে সুস্থএবং সক্রিয় রাখতে সতর্ক হন আগে থেকেই।
হাত ধোয়ার অভ্যাস করুন
শুধু এই অতিমারি পরিস্থিতি বলে নয়, বছরের সব সময় খাওয়ার আগে অবশ্যই হাত ধুয়ে নিন। বিশেষ করে শীতে যেহেতু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে তাই আরও বেশি করে হাত পরিষ্কার রাখা প্রয়োজন। সর্দি-কাশি সৃষ্টিকারী জীবাণুগুলি সংক্রামিত ব্যক্তির কাশি বা হাঁচি থেকে ছড়িয়ে পড়ে হাতের তালুতে প্রায় ২৪ ঘণ্টা বেঁচে থাকতে পারে। হাত মুখ স্পর্শ করার আগে অবশ্যই হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে ভাল করে ধুয়ে নিন। কিংবা স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে পারেন।
ছবি: সংগৃহীত
প্রচুর পরিমাণে জল খান
শীতকালে ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে এমনিতেই জল খাওয়ার পরিমাণ কমে যায়। জল শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বার করে দিয়ে শরীর সুস্থ রাখে। শরীরের যত্ন নিতে তাই প্রতিদিন অন্তত ৩ লিটার করে জল খাওয়ার অভ্যাস করুন।
স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করুন
শীতে সুস্থ থাকতে রোজের খাদ্যতালিকায় রাখুন স্বাস্থ্যকর ও সুষম খাদ্য। যা আপনাকে পর্যাপ্ত পুষ্টি প্রদান করবে। ভিটামিন ডি ও জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খান। ভাজাভুজির বদলে সবুজ শাকসব্জি, বাদাম, ফল ইত্যাদি খাবার বেশি করে খান।
পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমান
শীতকালে রোগের বিরুদ্ধে লড়তে পর্যাপ্ত ঘুম অপরিহার্য। অনিদ্রা প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করে তোলে। পর্যাপ্ত ঘুম শরীরে সাইটোকাইন নামক একটি প্রোটিনের সৃষ্টি করে যা রোগের সঙ্গে লড়তে মানুষকে ভিতর থেকে শক্তি জোগায়। সুস্থ প্রতিদিন অন্তত ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন।
নিয়মিত শরীরচর্চা করুন
শরীরচর্চা শুধু ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেই নয়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতেও অপরিহার্য। তাই নিয়ম করে হাঁটা, যোগাভ্যাস, ধ্যান, দৌড়নো মতো শরীরচর্চার মাধ্যমে যত্ন নিন স্বাস্থ্যের।