ছবি: সংগৃহীত
চিকিৎসকেদের মতে, উচ্চতা অনুযায়ী যা ওজন হওয়ার কথা তার চেয়ে কিছু শতাংশ বেশি থাকলে প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয়। এটি যেমন ঠিক, আবার এর পাশাপাশি অতিরিক্ত ওজন ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, হৃদ্যন্ত্রের সমস্যা ইত্যাদি রোগের মতো করোনার ঝুঁকিও কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয় বলে মত চিকিৎসক মহলের।
দেশ জুড়ে ফের ঊর্ধ্বমুখী করোনা সংক্রমণ। এই তালিকায় বাদ যায়নি রাজ্যও। দৈনিক সংক্রমণের হারও বেশ আশঙ্কাজনক। তাই এই সময় যতটা সম্ভব সুরক্ষিত থাকা একান্ত প্রয়োজন।
ছবি: সংগৃহীত
অন্যান্য শারীরিক সমস্যার পাশাপাশি অতিরিক্ত ওজন কি করোনার ঝুঁকি বাড়ায়?
ফ্রান্সের লিলি বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের কয়েক জন ফরাসি চিকিৎসকের করা একটি গবেষণা এই বিষয়ে সিলমোহর দিয়ছে। গবেষকদের দাবি, অতিরিক্ত ওজন ও স্থূলতা করোনা আক্রান্ত হওয়ার একটি কারণ হতে পারে।
চিকিৎসদের দাবি, ওজন বেশি থাকলে স্বাভাবিক ভাবেই দীর্ঘস্থায়ী কিছু রোগ শরীরে বাসা বাঁধে। ফলে করোনা ভাইরাসও খুব সহজে থাবা বসাতে পারে।
‘সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’-এর পক্ষ থেকে জানা গেছে, আমেরিকার প্রায় ৩০ শতাংশ নাগরিক স্থূলতার শিকার। বছরখানেক আগে করোনার ঢেউ যখন আছড়ে পড়ছিল পৃথিবীর এক কোণ থেকে আরেক কোণে, সেই সময় আমেরিকায় যত সংখ্যক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে প্রায় ৬৪ শতাংশ মানুষের বডি মাস ইনডেক্স বা বিএমআই ২৫ থেকে ৪০। যেখানে মানুষের স্বাভাবিক বিএমআই ১৮.৫-২৫ এর মধ্যে। শুধু তাই নয় আমেরিকায় মোট আক্রান্তের ৭ শতাংশের অবস্থা সঙ্কটজনক ছিল, যাঁদের বিএমআই ছিল ৪০-এরও বেশি।
অন্যান্য রোগ থেকে নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য তো বটেই, করোনা সংক্রমণ থেকেও নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে অতিরিক্ত মেদ ঝরিয়ে ফেলার বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত।