ছবি: সংগৃহীত।
ঠান্ডায় জল খাওয়া কমে যায়। শরীরে জলের অভাব হলে শারীরবৃত্তীয় অনেক কাজের গতিই শ্লথ হয়ে পড়ে। এই সময়ে অনেকেই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগেন। বিশেষ করে শিশু এবং বয়স্কদের মধ্যে এই ধরনের সমস্যা বেশি দেখা যায়। যদিও পুষ্টিবিদেরা বলেন, কোষ্ঠ পরিষ্কার রাখতে হলে ডায়েটে ফাইবার জাতীয় খাবার রাখা জরুরি, তবে যোগ প্রশিক্ষকেরা বলছেন, খাবারের পাশাপাশি নিয়মিত ভদ্রাসন করলেও সমস্যার সমাধান হতে পারে।
কী ভাবে করবেন?
· প্রথমে ম্যাটের উপর সোজা হয়ে বসুন।
· পিঠ, গলা, মাথা থাকবে টান টান। পা সামনের দিকে প্রসারিত করুন। শ্বাস যেন স্বাভাবিক থাকে।
· এ বার দু’টি পায়ের পাতা এমন ভাবে রাখবেন, যেন তা প্রণামের ভঙ্গিতে থাকে। নিতম্ব, ঊরু মাটি স্পর্শ করে থাকবে।
· এ বার শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে দু’টি হাত পায়ের পাতার উপর রাখুন।
· পায়ের পাতাজোড়া যতটা সম্ভব টেনে মূত্রাশয় বা মূত্রথলির কাছে নিয়ে আসুন। দু’টি গোড়ালির শেষ প্রান্ত প্রায় যোনির কাছাকাছি নিয়ে যেতে পারলে ভাল হয়।
· খেয়াল রাখতে হবে পা যেন মাটি থেকে উঠে না যায়। এই অবস্থানে থাকতে হবে অন্তত মিনিট দুয়েক। এই অবস্থানে থাকার সময়ে শ্বাস-প্রশ্বাস যেন স্বাভাবিক থাকে।
কেন করবেন?
· হজমের গোলমাল, অ্যাসিডিটির সমস্যা থাকলে এই আসন অভ্যাস করতে পারেন।
· এই আসনে তলপেট, কোমরের পেশি মজবুত হয়। রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়।
· দেহের গঠনভঙ্গি (পশ্চার) ঠিক রাখতেও সাহায্য করে।
· এই আসন অভ্যাস করা মূত্রাশয়, জননেন্দ্রিয়ের জন্যও ভাল।
সতর্কতা:
যাঁদের পা, হাঁটুতে ব্যথা রয়েছে, তাঁরা প্রশিক্ষকের তত্ত্বাবধানে থেকে এই আসন অভ্যাস করবেন। সায়াটিকার ব্যথা, গোড়ালি, কোমর, নিতম্বের সমস্যা থাকলেও এই আসন করা নিষেধ।