ঘুমের মাঝেই কমবে ওজন। ছবি: সংগৃহীত
ওজন কমানো বেশ কষ্টসাধ্য একটি কাজ। শুধু কায়িক পরিশ্রমই নয়, দরকার অসীম ধৈর্যেরও। তবে যেকোনও কাজের মতো শরীরচর্চার ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা প্রয়োজন। খ্যাতনামী হোন বা সাধারণ মানুষ, শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চেষ্টায় ঘাটতি রাখেন না কেউই। খাওয়াদাওয়ার বিধিনিষেধ থেকে শুরু করে নিয়মিত দৌড়ঝাঁপ সবটাই করে থাকেন অনেকে। তব আপনাকে যদি বলা হয়, এত পরিশ্রমের পরিবর্তে আপনার প্রাত্যহিক জীবনে খানিক বদল আনলেই ঘুমের মাঝেই কমবে ওজন, অবাক হবেন নিশ্চয়। তাহলে জেনে নিন কী ভাবে তা সম্ভব।
কার্ডিও
ক্যালোরি ঝরানোর ক্ষেত্রে কার্ডিও বেশ উপকারী। এটি শুধু আপনার ওজনই নিয়ন্ত্রণে রাখে তা নয় শরীরের সামগ্রিক সুস্থতার দিকেও খেয়াল রাখে। এটি ঘুমাতে যাওয়ার আগে বা সারাদিনে কোনও এক বার করে নিতে পারেন। রাতে শুতে যাওয়ার আগে খানিক হাঁটাহাঁটি করে নিতে পারেন। বা বাড়ির সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করে নিতে পারেন। বিপাক হার বজায় থাকবে ঘুমের মধ্যেও।
ঘুমানোর আগে করুন যোগাভ্যাস
যোগাভ্যাস যে শুধু শরীর ভাল রাখে তা নয়, মানসিক উদ্বেগ কমাতেও সাহায্য করে। তবে ঘুমানোর আগে যোগাভ্যাস করলে ঘুমের মাঝেও হ্রাস পেতে পারে ওজন। শুতে যাওয়ার আগে রোজ নিয়ম করে করতে পারেন উত্তনাসন। দুটি পা জড়ো করে সামনের দিকে প্রসারিত করে বসুন। কোমর থেকে আপনার শরীরকে সামনের দিকে পায়ের উপর হেলিয়ে ডান হাত দিয়ে স্পর্শ করুন দু’পায়ের পাতা।
ছবি: সংগৃহীত
ঘুমের আগে প্রোটিন খান
ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষকদের করা এক গবেষণা অনুযায়ী যাঁরা ঘুমানোর আগে ৩০ গ্রাম প্রোটিন খান, তাঁদের শরীরে ঘুমন্ত অবস্থায় ক্যালোরি পোড়ে বেশি।
অন্ধকারে ঘুমান
রাতে শোয়ার সময়ে আলো না জ্বালিয়ে ঘুমানোই ভাল। অন্ধকারে শরীরে একধরনের মেলাটোনিন হরমোন উৎপাদন হয়। তা একদিকে যেমন সহজে ঘুম আসাতে সাহায্য করবে, অন্যদিকে ক্যালোরি ঝরানোতে পারদর্শী ‘ব্রাউন ফ্যাট’তৈরিতে সাহায্য করবে।
কম তাপমাত্রায় ঘুমান
কম তাপমাত্রায় ঘুমালে ঘুমের মাঝে বেশি ক্যালোরি খরচ হয়। একটি গবেষণা তা দেখা গিয়েছে। শরীর তার তাপমাত্রা বাড়ানোর জন্য ক্যালোরি খরচ করে থাকে।
রাতে কম পোশাকে ঘুমান
অল্প পোশাকে শরীর ঠান্ডা থাকে বলে শরীর দ্রুত ক্যালোরি ঝরায়।
সময়ে খাবার খান
ওজন কমাতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া যতটা প্রয়োজন ঠিক ততটাই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে খাবার খাওয়া। প্রতিদিন একই সময়ে খাবার খেলে আপনার বিপাক ও পরিপাক ক্রিয়া ভাল থাকবে। ফলে ওজনও থাকবে নিয়ন্ত্রণে।
নৈশভোজে থাকুক হালকা খাবার
রাতের খাবার সব সময় হালকা খাওয়া উচিত। কারণ রাতে ক্যালোরি ঝরানোর বিশেষ সুযোগ থাকে না। খেয়েই শুয়ে পড়ার প্রবণতা দেখা যায় অনেকের মধ্যেই। তাই শোয়ার আগে ভারী খাবার না খাওয়াই ভাল। ভারী খাবার যেমন খাওয়া উচিত নয়, তেমনি বেশি রাতে হালকা খাবার খেয়েও কোনও লাভ নেই। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে রোজ একটি নির্দিষ্ট সময়ে হালকা খাবার খেয়ে তারপর ঘুমাতে যান।