এক দল গবেষক বলছেন শরীরে ভিটামিন ডি-র অভাব হতেই পারে কোভিডের তীব্র সংক্রমণের কারণ। ছবি: সংগৃহীত
ভিটামিন ডি কেবল হাড় ও পেশির স্বাস্থ্য ভাল রাখে এমনটা নয়, যে কোনও সংক্রমণ ঠেকাতে ও শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে জোরদার করে তুলতেও এর জবাব নেই। হৃদ্রোগ, ফুসফুস সংক্রমণের আশঙ্কা কমায় এই ভিটামিন। উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবিটিস ঠেকাটেও এর ভূমিকা অনেক। এক দল গবেষক বলছেন শরীরে ভিটামিন ডি-র অভাব হতেই পারে কোভিডের তীব্র সংক্রমণের কারণ।
তবে বেশির ভাগ ভারতীয়দের শরীরে এই ভিটামিনের অভাব রয়েছে। আমাদের শরীরে এই ভিটামিনের অভাব হওয়ার প্রধান কারণ হল সূর্যের রষ্মি শরীরে না লাগানো। কারণ সূর্যের আলোই ভিটামিন ডি-র প্রধান উত্স। আমাদের দৈনন্দিন কর্মব্যস্ততাও শরীরে ভিটামিন ডি-র অভাবের অন্যতম কারণ। দিনের বেশির ভাগ সময়টা আমরা অফিসেই কাটিয়ে দিই। আর অফিসের চার দেওয়াল ভেদ করে গায়ে রোদ লাগানো তো আর সম্ভব নয়। আর অফিস থেকে বাড়ি ফিরতে ফিরতে সন্ধে হয়ে যায়। তাই অফিসে কর্মরতদের শরীরে ভিটামিন ডি-র অভাব হওয়া খুবই স্বাভাবিক।
প্রতীকী ছবি
তবে চিন্তার কিছুই নেই। কিছু সাধারণ উপায় মেনে চললেই শরীরে ভিটামিন ডি-র জোগান ঠিক রাখা যাবে।
১। অফিসে যাওয়ার আগেই তো সেরে ফেলা যায় শরীরচর্চা। আর তা করতে পারলেই অনেক সমস্যার সমাধান হতে পারে। তবে বাড়িতে নয়, বাইরে বেরিয়ে ব্যায়াম করুন। এ ক্ষেত্রে প্রাতঃভ্রমণও করতে পারেন। শরীরে ভিটামিন ডি-র অভাব মিটবে।
২। অফিসে গিয়ে একটানা বসে কাজ কখনই করবেন না। কাজের ফাঁকে মাঝেমাঝে উঠুন। দুপুরের দিকে একটু অফিসের বাইরে বেরিয়ে হেঁটে আসুন। একা নয়, বন্ধুদের সঙ্গে নিয়েই বাইরে বেরিয়ে দুপুরের খাবারটা খেয়ে আসুন।
৩। অনেকেই বাইরের খাওয়ার খেতে চান না। সে ক্ষেত্রে অফিসেই দুপুরের খাওয়ার সেরে বেরিয়ে পড়ুন রোদ পোহাতে। এর মাধ্যমেই অনেক সমস্যার হবে সমাধান।
৪। বাসে করে অফিস গেলে অফিসের একদম সামনে নামবেন না। একটু আগে নেমে বাকিটা পথ হেঁটে আসুন। হাঁটাও হবে আর শরীরের ভিটামিন ডি-র ঘাটতিও কমবে। এ ক্ষেত্রে হাতে সময় রেখে অফিসে বেরোন।