পিঠে ব্যথার সমস্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। প্রতীকী ছবি।
সম্প্রতি একটি সমীক্ষা জানাচ্ছে, আর কোনও শারীরিক সমস্যা থাক কিংবা না থাক পিঠে ব্যথার সমস্যায় ভুগছেন প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ। এর মধ্যে প্রায় ২০ শতাংশ মানুষই প্রাপ্তবয়স্ক। পিঠে ব্যথার বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। অফিসে প্রায় ৭-৮ ঘণ্টা একটানা বসে থাকতে হয়। কিছু ক্ষেত্রে কাজের চাপ এত বেশি থাকে যে বিরতি নিয়ে কিছু ক্ষণ হেঁটে আসারও সুযোগও থাকে না। তাতেই বাড়ছে সমস্যা। ফলে দীর্ঘ ক্ষণ বসে থাকার ফলে এই সমস্যার জন্ম হচ্ছে। এমনকি, যাঁরা গাড়ি চালানোর পেশার সঙ্গে যুক্ত, সারা ক্ষণ বসে থাকার ফলে পিঠে ব্যথা হওয়া অস্বাভাবিক নয়। একটানা বসে থাকা পিঠে ব্যথার একটি কারণ তো বটেই। এ ছাড়া, অতিমারির কারণে এখন সব কিছুই ডিজিটাল মাধ্যমের উপর নির্ভরশীল। বাজার-দোকান থেকে পড়াশোনা— সব কিছুই ফোন কিংবা কম্পিউটারের পর্দায় হয়ে যাচ্ছে। ফলে কায়িক পরিশ্রম খানিক কম হচ্ছে। ব্যস্ততার কারণে আলাদা করে শরীরচর্চাও করা হয়ে উঠছে না। সব মিলিয়ে পিঠে ব্যথার সমস্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
দীর্ঘ ক্ষণ বসে থাকার ফলে এই সমস্যার জন্ম হচ্ছে। প্রতীকী ছবি।
কোন উপায়ে সুস্থ থাকা সম্ভব হবে?
১) শরীরের বাড়তি ওজন পিঠে ব্যথার সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই ওজন কোনও ভাবেই বাড়তে দেওয়া যাবে না। সেই সঙ্গে ক্যালশিয়াম, ভিটামিন ডি-সহ খাবার বেশি করে খান। হাড়ের যত্ন নিতে এগুলি অত্যন্ত জরুরি।
২) শরীরচর্চার অভ্যাস বজায় রাখুন। রোজ এক বার হলেও ব্যায়াম করুন। যোগাসন করুন। সাঁতার কাটতে পারেন। খুব ভাল ব্যায়াম এটি। মোট কথা ফিট থাকার চেষ্টা করুন। ফিটনেস কমে গেলে ব্যথা-বেদনা চলতেই থাকবে।
৩) ধূমপানও কিন্তু পিঠে ব্যথার কারণ হতে পারে। এই অভ্যাস মেরুদণ্ডকে ক্ষয় করতে থাকে। এই কারণে পিঠে ব্যথা হতে পারে। সুস্থ থাকতে পিঠে ধূমপান করা থেকে দূরে থাকুন।
৪) কাজের চাপ থাকলেও অফিসে এক টানা বসে থাকবেন না। কয়েক মিনিটের জন্য হলেও হেঁটে আসুন। উঠে সোজা হয়ে দাঁড়ান। কোমরের ব্যায়াম করে নিন। তাতে কিছুটা হলেও লাভ হবে।
৫) অফিসে টেবিলে প্রয়োজনীয় সব জিনিসগুলি নাগালের মধ্যে রাখুন। যাতে বেশি বার না ঝুঁকতে হয়। দরকারি সব জিনিসপত্র হাতের কাছাকাছি রাখুন। সুবিধা হবে।
৬) কম্পিটারের পর্দা যেন চোখের সোজাসুজি থাকে। খুব উপরে বা নীচের দিকে তাকিয়ে কাজ করলে পিঠে চাপ পড়তে পারে।