ছোলার ডাল খাওয়ার পর অনেকের পেট ভার, গ্যাস, অ্যাসিডিটি— নানা রকম সমস্যা লেগেই থাকে। ছবি: শাটারস্টক।
রাতদিন ভাল-মন্দ খেতে কার না ভাল লাগে! সকালের জলখাবারে ছোলার ডাল আর লুচি খেতে মন্দ লাগে না। রাতে ডিম-তরকা আর রুটি থাকলে খাবারের থালা চেটেপুটে একেবারে সাফ। কিন্তু মুশকিলটা হয় তার পরে। পেটভার, গ্যাস, অ্যাসিডিটি— নানা রকম সমস্যা লেগেই থাকে। এমনিতে ছোলা-মটর খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল। নানা রকম পুষ্টিগুণে ভরপুর হলেও অনেকের এগুলি খেলে গ্যাস হওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়। কিন্তু রান্না করার কায়দা একটু বদলালেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। কী করবেন, জেনে নিন।
১। রান্না করার আগে অন্তত ৮ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে। এমনিতেই ছোলা, মটর বা কাবুলি ছোলা বেশির ভাগ সময়ে আমরা বেশ অনেকটা সময় ভিজিয়ে রাখি। কিন্তু সময়ের অভাবে অনেকে অল্প ক্ষণ ভিজিয়ে কুকারে অনেকগুলি সিটি দিয়ে নরম করে নেন। এই কাজ না করে আগের রাতেই ছোলা ভিজিয়ে রাখুন। সারা রাত ভেজানো থাকলে অনেকটাই উপকার পাবেন।
২। ছোলা-মটর ভিজিয়ে রাখলে সেই জলেও অনেকটা গ্যাস বেরোয়। তাই সেই ভেজানো জল ভাল করে ছেঁকে ফেলে দিন। সেই জলেই রান্না সেরে ফেলবেন না।
৩। ঈষদুষ্ণ জলে ভিজিয়ে রাখতে পারলে আরও উপকার পাবেন। এ ভাবে সমস্ত গ্যাসটাই বেরিয়ে যাবে। ঘণ্টাখানেক ভিজিয়ে রাখলেই চলবে।
৪। প্রেশার কুকারে রান্না করা হয়ে গেলে বাড়তি ফেনাটা ফেলে দেবেন।
৫। নুন, টম্যাটো বা লেবুর রসের মতো যে কোনও উপাদান রান্নায় ব্যবহার করলে তা প্রেশার কুকারে দেবেন না। পরে যোগ করুন।