এক চিমটে দারচিনির গুণ অনেক। কী ভাবে, কোন খাবারে তা মেশাবেন? ছবি:ফ্রিপিক।
ভারতীয় হেঁশেলে দারচিনির ব্যবহার মশলা হিসাবে। মাংস হোক বা মাছের কোনও পদ সামান্য দারচিনি স্বাদ বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। এটি আসলে গাছের বাকল বা ছাল। তবে শুধু রান্নার স্বাদ-গন্ধ বৃদ্ধিতেই এর ভূমিকা সীমাবদ্ধ নয়, বরং ওজন ঝরানো থেকে শর্করা নিয়ন্ত্রণেও দারচিনি কার্যকর। এতে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, একই সঙ্গে অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল, অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি উপাদান । সামান্য একটু দারচিনি যেমন ওজন বশে রাখতে সাহায্য করে তেমনই এই মশলা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। খারাপ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখতেও এই উপাদানটি সহায়ক। অনেকে জলে দারচিনি ভিজিয়ে বা চায়ের সঙ্গে ফুটিয়ে খান। আর কী ভাবে বিভিন্ন পদের সঙ্গে জুড়তে পারেন দারচিনি?
কফি: শীতের সকালে এক কাপ গরম কফি পেলে শরীর মন চাঙ্গা হয়ে ওঠে। এই কফির সঙ্গে জুড়তে পারেন সামান্য দারচিনি গুঁড়ো। কফি তৈরির পর এর সঙ্গে দারচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে দিতে পারেন। আবার কফির জল ফোটানোর সময় তাতে ফেলে দিতে পারেন এক টুকরো দারচিনি। বিপাকহার বৃদ্ধিতে সাহায্য করে দারচিনি।
ফল: ফল খাচ্ছেন? উপর থেকে সামান্য একটু দারচিনি ছড়িয়ে নিন। দারচিনি হজমে সহায়ক। আপেল, কলা, লেবু— যে কোনও ফলেই দারচিনি ছড়িয়ে খেতে পারেন।
দই: শরীরে ভাল ব্যাক্টেরিয়ার জোগান দেওয়ার জন্য দই খাওয়া জরুরি। অনেকেই পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়মিত দই খান। দইয়ের সঙ্গে দারচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে নিতে পারেন। টক দই এবং দারচিনি মেদ ঝরাতে সাহায্য করবে।