রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতেও আম অত্যন্ত কার্যকর। ছবি: সংগৃহীত
গরম পড়তেই আমবাঙালির খোঁজ পড়ে রকমারি আমের। হিমসাগর, ল্যাংড়া, আম্রপালি— বাজার ছেয়ে যায় নানা স্বাদের আমে। বাজার ফিরতি আমজনতার ব্যাগ থেকেও উঁকি মারে পাকা কিংবা কাঁচা-মিঠে আম। স্বাদের যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি আম শরীর ভাল রাখতেও দারুণ সাহায্য করে। আমে রয়েছে ভরপুর ভিটামিন সি। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতেও আম অত্যন্ত কার্যকর।
তবে যাঁরা ডায়াবিটিসের সমস্যায় ভুগছেন, আম তাঁদের পক্ষে আদৌ কতটা সহায়ক হবে, তা নিয়ে রয়েছে দ্বন্দ্ব। ডায়াবিটিস রোগীরা আম খেতে পারবেন কি না, তা নিয়ে বহু মতও রয়েছে। এর কারণ মূলত আমে শর্করার পরিমাণ অনেকটাই বেশি। তবে পুষ্টিবিদরা বলছেন, ডায়াবিটিস রোগীরাও আম খেতে পারেন। সে ক্ষেত্রে আম খাওয়ার নির্দিষ্ট কয়েকটি উপায় মেনে চলতে হবে। সেই উপায় মেনে চললে ডায়াবিটিস রোগীর পাশাপাশি যাঁরা রোগা হতে চাইছেন, তাঁরাও অনায়াসে খেতে পারেন আম।
ডায়াবিটিস রোগীরা কী ভাবে আম খাবেন?
আমের খোসা ছাড়িয়ে আমগুলি ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিন। তার পর আমের ওই টুকরোগুলি কিছু ক্ষণ জলে ভিজিয়ে রাখুন। প্রায় এক ঘণ্টা জলে ভিজিয়ে রাখার পর আমের টুকরোগুলি মিক্সিতে পিষে নিয়ে শেক বানিয়ে তার পর খান। এ ভাবে আম খেলে রক্তে শকর্রার পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা কম।
এ ছাড়া আম খেয়েও ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে একসঙ্গে অনেক আম খাওয়া এড়িয়ে চলুন। অনেকেই এক দিনে অনেকটা আম খেয়ে সেই ভারসাম্য বজায় রাখতে পরের কয়েক দিন আম থেকে দূরে থাকেন। পুষ্টিবিদরা বলছেন, এতে সমস্যা বাড়বে বই কমবে না। তার চেয়ে একসঙ্গে আম না খেয়ে রোজ অল্প অল্প করে আম খেতে পারেন। তবে পরিমাণে কিন্তু খুবই অল্প হতে হবে। বড় এক টুকরো বা ছোট ছোট দু’টুকরো আম খেতে পারেন। রক্তে শর্করার পরিমাণ বজায় রাখতে আম খাওয়ার ক্ষেত্রে এটুকু নিয়ম মেনে চললেই ভাল।