ছবি: সংগৃহীত
শরীরে বিভিন্ন রোগের আনাগোনার অন্যতম কারণ সঠিক পরিমাণে ঘুম না হওয়া। সুস্থ থাকার অন্যতম ভিত্তি হল পর্যাপ্ত ঘুম। এখনকার ব্যস্ততম জীবনে ঘুমেরই সবচেয়ে বেশি অভাব দেখা যায়। ঘুম কম হলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে যায়। ওজন বাড়তে থাকে। অজান্তেই আরও অনেক সমস্যা শরীরের অন্দরে বাড়তে থাকে।
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ঘুম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেই তা মানতে চান না। আর তাতেই দেখা দেয় সমস্যা। ঘুম কম হল শুধু শরীর নয়, বিগড়ে যায় মনও। ঘুম থেকে উঠেই মাথাব্যথা, গা ম্যাজ ম্যাজ করা, দুর্বল লাগা এগুলি খুব সাধারণ লক্ষণ। অনেকেরই এমনটা হয়। আসলে এগুলি হল ঘুমের ঘাটতির কারণ। সারা দিনে এক জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের সর্বোচ্চ কত ক্ষণ ঘুম প্রয়োজন?
এর উত্তরে চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অন্তত ৮ ঘণ্টা ঘুম দরকার। শরীর সুস্থ রাখতে এটুকু ঘুম অত্যন্ত প্রয়োজন। নয়তো অল্পেতেই অসুস্থ হয়ে পড়বে শরীর। কম ঘুম অবসাদ এবং ভানসিক উদ্বেগেরও কারণ হয়ে উঠতে পারে। মস্তিষ্ক সংক্রান্ত আরও অনেক রোগের জন্ম হতে পারে অপর্যাপ্ত ঘুমের কারণে।
কোন কোন লক্ষণ দেখে বুঝবেন ঘুমের ঘাটতি তৈরি হয়েছে?
সকালে উঠে মাথাব্যথা, দুর্বল লাগা। অফিসে গিয়ে সারা ক্ষণ ঝিমুনি ভাব। দরকারি কোনও কথা বা তথ্য ভুলে যাওয়া। সব রকম সতর্কতা মেনে চলার পরেও ওজন বেড়ে যায় অনেকের। এ ক্ষেত্রে একমাত্র কারণ হল ঘুমের ঘাটতি। ভাল ঘুম না হলে হজম ঠিকঠাক হয় না। ভাল বিপাকক্রিয়া উন্নত না হলে ওজন বাড়ার মতো আরও অনেক সমস্যা হতে পারে। চিকিৎসকদের কথা অনুযায়ী, ৮ ঘণ্টা ঘুম জরুরি। সব সময়ে তা হয় না। সে ক্ষেত্রে দিনে যদি অল্প অল্প করে ঘুমিয়ে নেওয়া যেতে পারে, রাতে ঘুম না হওয়ার আরও একটি বড় কারণ হল ইনসমনিয়া। অনেকেই আবার ঘুমের ওষুধ খান। এই অভ্যাস একেবারেই ঠিক নয়।
ঘুমের মধ্যে নাক ডাকা অপর্যাপ্ত ঘুমের আরও একটি লক্ষণ।অথচ অনেকেই এর বিপরীতটা ভাবেন। অনেকেরই মনে হয়, নাক ডাকা হল গভীর ঘুমের লক্ষণ। তা একেবারেই নয়। ঘুমের মধ্যে নাক ডাকছেন মানে আপনার ঘুম ঠিক হচ্ছে না। সেই কারণেই এমন হচ্ছে।
স্বাস্থ্যকর ঘুম আসতে পারে কী কী ভাবে?
১) ঘুমের আগে মোবাইল, টিভি দেখা বন্ধ করুন। ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত ৩০ মিনিট আগে মোবাইলের ব্যবহার বন্ধ করা জরুরি।
২) ঘুমাতে যাওয়ার আগে ভারী কোনও খাবার খাবেন না। এতে হজমের গোলমালের কারণে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে।
৩) চিকিৎসকদের মতে, রাতে ঘুমাতে যাওয়ার কফি বা চা বেশি না খাওয়াই ভাল। কফিতে থাকা ক্যাফিন অনিদ্রার কারণ হতে পারে।
৪) রাতের খাবার খেয়ে উঠে মিনিট দশেক হেঁটে নিন। এতে ঘুম চলে আসবে তাড়াতাড়ি।