পথ হাঁটুন, সুস্থ থাকুন। ছবি:সংগৃহীত।
কর্মব্যস্ততা, ধারাবাহিক অনিয়ম, সময়ে খাওয়াদাওয়া না করা, বাইরের খাবারের প্রতি অত্যধিক ঝোঁক, মানসিক চিন্তা, উদ্বেগ— এ সব কিছুর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব পড়ে শরীরের উপরে। ওজন বেড়ে যাওয়া, হজমের গোলমাল, গ্যাস-অম্বলের সমস্যা লেগেই থাকে। তাই চিকিৎসক এবং পুষ্টিবিদ উভয়েই বলে থাকেন শরীরের সঠিক যত্ন নেওয়ার কথা। সুস্থ থাকতে যে নিয়মে নিজেকে বাঁধতে হয়, ঘর এবং বাইরে সামলে অনেকের পক্ষেই তা সম্ভব নয়। সুস্থ থাকা খুব কঠিন নয়। রোজ সময় বার করে যদি কিছুটা পথ হাঁটা যায়, তা হলেও উপকার পাবেন। পাঁচ, দশ না কি পনেরো মিনিট— ঠিক কত ক্ষণ হাঁটলে সুফল মিলবে, তা অনেকেই বুঝতে পারেন না। এমনিতে রোজ ১০ হাজার পা হাঁটার নিয়ম। দশ হাজার পা হাঁটলে পাড়ি দেওয়া যায় প্রায় ৭.৫ কিমি পথ। অনেকের পক্ষেই তা সম্ভব নয়। তবে সাম্প্রতিক গবেষণা জানাচ্ছে, অতটা না পারলেও ৪-৫ হাজার পা হাঁটলেই যথেষ্ট। তবে সকলের জন্য এই নিয়ম প্রযোজ্য নয়। সকলেই যদি একই পথ পাড়ি দেন, তা হলে লাভ কিছুই হবে না। কত পা হাঁটা জরুরি, বয়স অনুযায়ী তা বদলে যায়।
১) চল্লিশোর্ধ্ব মহিলাদের ক্ষেত্রে রোজ ১২ হাজার পা হাঁটার পরামর্শ দিচ্ছেন গবেষকরা। ৪০-এর পর থেকে নানা অসুখ শরীরে বাসা বাঁধতে শুরু করে। সুস্থ থাকতে তাই এই নিয়ম মেনে চলা জরুরি।
২) ৪০ থেকে ৫০ বছর বয়সি মহিলাদের রোজ ১১ হাজার পা হাঁটার লক্ষ্য স্থির করার কথা উঠে এসেছে গবেষণায়।
৩) ৫০ থেকে ৬০ অর্থাৎ, প্রৌঢ়াদের নিয়মিত ১০ হাজার পা হাঁটা জরুরি।
৪) বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পথ হাঁটার পরিমাণও কমাতে হবে। ষাটোর্ধ্ব মহিলাদের রোজ ৮ হাজার পা হাঁটাই যথেষ্ট।
৫) মেয়েদের নানা রোগের ঝুঁকি বেশি। তাই হাঁটাচলা করার অভ্যাস পুরুষের চেয়েও মহিলাদের থাকা বেশি জরুরি। তবে সুস্থ থাকতে পুরুষদেরও নিয়ম করে হাঁটতে হবে। গবেষণা জানাচ্ছে, ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সি পুরুষদের ১২ হাজার পা হাঁটলেই হবে।