Diet

খাওয়াদাওয়ায় বিধিনিষেধ মেনেও রোগা হতে পারছেন না? সঠিক সময়ে খাবার খাচ্ছেন তো?

রোগা হওয়ার জন্য খাওয়াদাওয়ায় বিধিনিষেধ মেনে চলা প্রয়োজন। তবে শুধু খাওয়াদাওয়া নয়, রোগা হওয়ার পর্বে কখন খাচ্ছেন, সেটাও জরুরি। অল্প খেলেই হবে না, খাওয়ার সময়টিও মেদ ঝরানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২১:২৮
Share:

সকাল এবং রাতের খাবারের মধ্যে অন্তত ১২ ঘণ্টার ব্যবধান থাকা প্রয়োজন। প্রতীকী ছবি।

শরীরচর্চা, ডায়েট, বাইরের খাবার খাওয়া বন্ধ করা— ওজন কমানোর অন্যতম অস্ত্র এগুলিই। ধারাবাহিক ভাবে এই নিয়মগুলি মেনে চললে রোগা হওয়ার পথ ততখানি কঠিন নয়। তবে পুষ্টিবিদরা বলছেন, রোজ এই নিয়মগুলি মেনে চলা ছাড়াও আরও কয়েকটি বিষয় রয়েছে, মেদ ঝরাতে সেগুলিও প্রয়োজন। শুধু কম খেলেই হবে না, খাওয়ার সময়টিও রোগা হওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

Advertisement

সকালের খাবার হবে সবচেয়ে ভারী। দুপুরের খাবার অপেক্ষাকৃত হালকা। রাতে সবচেয়ে কম। পুষ্টির অন্যতম মন্ত্র হল এটি। চিকিৎসকরা সব সময়ই বলেছেন, একটি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে খাওয়াদাওয়া করা প্রয়োজন। সঠিক সময়ে খাওয়াদাওয়া করার অভ্যাস মানসিক চাপ কমানো, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি অন্যান্য রোগের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে।

রাতে হালকা খাবার সুস্থ থাকার পাশাপাশি ওজন নিয়ন্ত্রণেও রাখতেও সাহায্য করে। প্রতীকী ছবি।

সকাল এবং রাতের খাবারের মধ্যে অন্তত ১২ ঘণ্টার ব্যবধান থাকা প্রয়োজন। অনেকেরই সকাল শুরু হয় অনেক দেরিতে। সে ক্ষেত্রে কিন্তু এই ব্যবধান বজায় রাখা সম্ভব নয়। তাই সকাল ৭ টার মধ্যে জলখাবার খেয়ে নিলে ভাল। এতে ভারসাম্য বজায় থাকবে। শরীরও সুস্থ থাকবে।

Advertisement

দুপুরের খাবার হজম করতে সময় লাগে প্রায় চার ঘণ্টা। তাই সকালের খাবার খাওয়ার পর অন্তত চার থেকে সাড়ে চার ঘণ্টা পরে দুপুরের খাবার খাওয়া ভাল। সকালের খাবার এবং মধ্যাহ্নভোজের মধ্যে এটুকু সময়ের ব্যবধান না থাকলে বদহজমের মতো কিছু সমস্যা হতে পারে।

আবার দুপুরের খাবার এবং রাতের খাবার খাওয়ার মধ্যে আট ঘণ্টার ব্যবধান থাকা প্রয়োজন। এই সময়টি দীর্ঘ হলে ভারসাম্য নষ্ট হয়। চিকিৎসকরা রাতের খাবার হালকা রাখতে বলেন। রাতে হালকা খাবার সুস্থ থাকার পাশাপাশি ওজন নিয়ন্ত্রণেও রাখতেও সাহায্য করে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement