সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে কমবেশি সকলেই দিনের বেশ খানিকটা সময় মোবাইলে চোখ রেখে বসে থাকেন। ছবি: সংগৃহীত
এমন অনেকেই আছেন যাঁরা ফোনে কথা বলার তুলনায় ‘টেকস্ট’ কিংবা মেসেজ করতেই বেশি স্বচ্ছন্দবোধ করেন। অগত্যা সারাদিন ফোনে মুখ গুঁজে খুটখাট, টুকটাক আওয়াজ চলতেই থাকে। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে কমবেশি সকলেই দিনের বেশ খানিকটা সময় মোবাইলে চোখ রেখে বসে থাকেন। এই অভ্যাস কিন্তু মোটেই ভাল নয়!
চিকিৎসকদের কাছে যে রোগীরা যান, তাঁদের অধিকাংশই পিঠে ব্যথা, ঘাড়ে ব্যথা, গাঁটে ব্যথা কিংবা হাতের ব্যথায় ভুগছেন। চিকিৎসকদের আশঙ্কা অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারই এই সমস্যার মূলে।
দিনের অনেকটা সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে হাতের পেশি ও লিগামেন্টের উপর চাপ পড়ে। দীর্ঘ দিন এমনটা হতে থাকলে সেই ব্যথা মেরুদণ্ডের উপরেও প্রভাব ফেলে। মেরুদণ্ড বেঁকেও যেতে পারে। অনেকেই আবার একে বাতের ব্যথার সঙ্গে গুলিয়ে ফেলেন।
প্রতীকী ছবি
পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আগে কী কী সতর্কতা নিনে হবে?
১) মোবাইলে মেজেস করার পরিমাণ কমাতে হবে। প্রয়োজনে ফোনে কথা বলুন।
২) মোবাইল কেনার সময়ে লক্ষ রাখবেন মোবাইলটি যেন খুব ভারী না হয়। ভারী মোবাইল হাতে থাকলে পেশীর উপর বেশি চাপ পড়ে।
৩) একটি মোবাইল স্ট্যান্ড কিনতে পারেন। তার উপর মোবাইটি রেখঘ ব্যবহার করলে সমস্যা কম হবে।
৪) মোবাইল ফোন ব্যবহারের সময়ে ঘাড় নিচু বা বাঁকা করে না তাকিয়ে বরং ঘাড় সোজা রেখে ফোনটা চোখ বরাবর নিয়ে আসুন। এতে মাথা ও ঘাড়ের উপর চাপ কম পড়বে।
৫) কয়েকটি ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ করতে পারেন। সর্বোপরি মেরুদণ্ডের সংলগ্ন পেশী সচল রাখতে নিয়ম করে কিছু যোগাসন করতেই হবে।
৬) যাঁদের ঘাড়, কোমর বা পিঠে খুব ব্যথা, তাঁরা এক বার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সঠিক চিকিৎসা, ফিজিওথেরাপি ও আসন শুরু করুন।