ক্লান্তি কাটাতে খানিক রোদে দাঁড়াতে পারেন। ছবি: সংগৃহীত
ওমিক্রন সংক্রমণে উপসর্গ মৃদু মনে হতেই পারে অনেকের। এখন কোভিড হওয়ার পর বিচ্ছিন্নবাসে থাকার সময়সীমাও কমিয়ে সাত দিন করে ফেলা হয়েছে। কিন্তু তাতে সম্পূর্ণ সুস্থ কি সকলে হচ্ছেন? জ্বর চলে গেলেও গায়ে-হাত-পায়ে ব্যথা এবং বিশেষ করে ক্লান্তি থেকে যাচ্ছে অনেকের। ক্লান্তি কাটানো খুব একটা সহজ নয়। অনেকের অল্প হলেও ক্লান্তিবোধ থেকে যাচ্ছে বাকি উপসর্গ মিলিয়ে যাওয়ার বহু দিন পর পর্যন্ত। কী করে সামাল দেওয়া যায় এই পরিস্থিতির? কিছু নিয়ম মানলে খানিক স্বস্তি পেতে পারেন অনেকে।
হালকা ব্যায়াম
অনেকেরই ঘরে কাজ করতে বা অল্প চলাফেরা করতেও ক্লান্তি আসছে। কিন্তু একদম সুস্থ হয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজন অল্প ব্যায়াম করা। ধীরে ধীরে হাঁটা, এক জায়গায় দাঁড়িয়ে হাত-পা ঘোরানো, চেয়ার বসে পায়ের ব্যায়াম করা, শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম— এগুলি সবই খুব জরুরি।
রোদে বসা
প্রত্যেক দিন অন্তত ২০ থেকে ৩০ মিনিট রোদে বসতে হবে। শীতকালে এমনিও রোদে বসলে শরীর অনেকটা চাঙ্গা লাগে।
ড্রাই ফ্রুটস
একটি খেজুর, বেশ কয়েকটা কিশমিশ, ২-৩টি কাঠবাদাম, ২টি আখরোঠ সারা রাত জলে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে জলখাবারের সঙ্গে খেতে পারেন। আবার যখন ক্লান্ত লাগবে, তখনও অল্প অল্প করে খেতে পারেন। শরীরে স্ফূর্তি জোগাবে এই খাবার।
হালকা খাবার
ডালের জল, সেদ্ধ ভাত, কম তেল-মশলা দিয়ে করা তরকারি, পাতলা মাছের ঝোলের মতো খাবার খান, যাতে হজম করতে সুবিধা হয়। প্রসেস করা খাবার বা বেশি চিনি এই সময় একদম চলবে না। এগুলি হজম করতে অনেক বেশি সময় লাগে এবং তাতে শরীরে এনার্জি কম তৈরি হয়।
প্রতীকী ছবি।
খিচুড়ি-স্যুপ
নানা রকম পুষ্টিকর ডালের খিচুড়ি খান এক দিন অন্তর। খিচুড়ি তৈরি করার সময় কিছু মরসুমি সব্জিও দিয়ে দেবেন সঙ্গে। সপ্তাহে ৩ থেকে ৪ দিন কোনও পুষ্টিকর স্যুপ খাওয়ার চেষ্টা করুন। মরসুমি শাক-সব্জি দিয়ে স্যুপ বানালে বেশি উপকার পাবেন। খাওয়ার এক ঘণ্টা পর এমন কোনও চা বা পানীয় খান যা আপনার রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে।
ঘুম
বিশ্রাম করা ছাড়া কোনও উপায় নেই। তাই খেয়াল রাখবেন রাতে যেন একটানা অনেক ক্ষণ ঘুম হয় আপনার। নিজের শরীর বোঝার চেষ্টা করুন। সাধারণত আপনি ১১টায় ঘুমান বলে রাত ১১টা পর্যন্ত জেগে থাকার চেষ্টা করবেন না। যদি রাত ১০টায় ঘুম পায়, ঘুমিয়ে পড়ুন। যত বেশি বিশ্রাম নেবেন, তত তাড়াতাড়ি আপনার ক্লান্তি দূর হবে।