কোভিড আক্রান্ত শিশুদের মধ্যে সেরে ওঠার পর প্যারোসমিয়া লক্ষণ বেশি দেখা যাচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত
চলতি করোনা-স্ফীতিতে আক্রান্ত ব্যক্তির শারীরিক উপসর্গগুলি তুলনামূলক ভাবে কম সক্রিয়। অধিকাংশই মৃদু উপসর্গ নিয়ে বাড়িতে আছেন। আক্রান্ত থাকাকালীন শারীরিক উপসর্গ মৃদু থাকলেও কোভিড পরবর্তী সময় বেশ দুর্বলতা, খাওয়াদাওয়াতে অরুচির মতো বেশ কিছু উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। তার মধ্যে অন্যতম একটি সমস্যা হল ‘প্যারোসমিয়া’। যেকোনও বয়সের মানুষের প্যারোসমিয়া হতে পারে।
তবে ইউনিভার্সিটি অফ ইস্ট অ্যাংলিয়ার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোভিড আক্রান্ত শিশুদের মধ্যে সেরে ওঠার পর প্যারোসমিয়া লক্ষণ বেশি দেখা যাচ্ছে।
গবেষণা বলছে, কোভিড থেকে সেরে ওঠার পর আমেরিকাতে ২,৫০, ০০০ জন মানুষ প্যারোসমিয়াতে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে সাম্প্রতিক স্ফীতিতে এই রোগটির সবচেয়ে বেশি থাবা বসাচ্ছে শিশুদের উপর।
ছবি: সংগৃহীত
কী এই প্যারোসমিয়া?
চিকিৎসকদের মতে, কোভিড আক্রান্তদের মধ্যে প্যারোসমিয়া খুবই সাধারণ একটি উপসর্গ। প্যারোসমিয়া গন্ধকে প্রভাবিত করে। সদ্য রান্না করা খাবার থেকেও প্যারোসমিয়াতে আক্রান্তরা এক ধরনের বিকৃত গন্ধ অনুভব করেন। শুধু আক্রান্ত থাকাকালীন নয়। কোভিড পরবর্তী সময়ে এই উপসর্গটি স্থায়ী হতে পারে। বর্তমান সময়ে শিশুদের মধ্যে এই উপসর্গটি বেশি করে দেখা যাচ্ছে। ফলে এই গন্ধ অনুভূতির পরিবর্তনের কারণে খাওয়াতেও তার প্রভাব পড়ছে। অনেক শিশুই টাটকা খাবার থেকে পচা বা অন্য অদ্ভুত গন্ধ পাচ্ছে। খাওয়ার প্রতি অনীহা বাড়ছে। এর ফলে শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টিরও ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। শুধু পুষ্টিকর খাবার বলে নয়, শিশুদের পছন্দের কিছু খাবার যেমন চকোলেট,চিপস প্রভৃতিতে তারা এমন গন্ধ পাচ্ছে। ফলে চকোলেট, চিপসের মতো খাবারেও অনীহা প্রকাশ করছে তারা।
কী করণীয়?
এই রকম হলে প্রথমেই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। বিভিন্ন নাকের স্প্রে পাওয়া যায় সেগুলিও ব্যবহার করতে পারেন। তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে।
শিশু বিশেষজ্ঞদের মতে, অভিভাবকেরা বাচ্চাদের খাওয়ানোর সময় তাদের নাক সাময়িক ভাবে বন্ধ করা যায় এমন কোনও ক্লিপ ব্যবহার করতে পারেন। অথবা শিশুথ মনকে অন্যমনস্ক করে দিয়ে খাওয়ানোর চেষ্টা করতে পারেন। এ ছাড়া তরল খাবারে ভরসা করতে পারেন। গন্ধ বিশেষজ্ঞদের মতে, ভ্যানিলা বা ভিটামিন সমৃদ্ধ মিল্কশেকও খাওয়াতে পারেন।
এ ছাড়াও গন্ধ প্রশিক্ষণ বলে একটি পদ্ধতি আছে। যা দ্রুত গন্ধ ইন্দ্রিয়কে স্বাভাবিক করে তুলতে পারে। দিনে এক বার বা দু বার লেবু পাতা, গোলাপ, দারচিনি, কফি বা ল্যাভেন্ডার বাচ্চাকে শোঁকাতে পারেন।