ডিম না পাউরুটি, দোষ কার? ছবি: সংগৃহীত।
গেরস্ত বাড়িতে সকালের জলখাবার মানে রুটি-তরকারি, দুধ-মুড়ি কিংবা ডিম টোস্ট। ইদানীং স্বাস্থ্যের কথা ভেবে অনেকেই দুধ-কর্নফ্লেক্স, দুধ-ওট্স কিংবা দালিয়া খেয়ে থাকেন। তবে, যাঁদের রক্তে শর্করা বাড়তির দিকে বা যাঁরা দীর্ঘ দিন ধরে ডায়াবিটিসের সমস্যায় ভুগছেন, খাবার নিয়ে তাঁদের নানা রকম সমস্যায় পড়তে হয়। কখন কী খেলে যে দুম করে শর্করা বেড়ে যায়, সেই আতঙ্কে দিন কাটে। সম্প্রতি একটি রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, পাউরুটির সঙ্গে ডিম খেলে রক্তে শর্করা বেড়ে যেতে পারে ২০ পয়েন্ট পর্যন্ত। কিন্তু শুধু ডিম খেলে সেই সম্ভাবনা থাকে না।
পুষ্টিবিদেরা বলছেন, ডিমের মধ্যে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি। কার্বোহাইড্রেট নেই বললেই চলে। তাই ডায়াবিটিস থাকলেও ডিম খাওয়া নিরাপদ। পাউরুটি তৈরি হয় ময়দা থেকে। কার্বোহাইড্রেট এবং গ্লুটেন রয়েছে পাউরুটিতে। এই খাবারের গ্লাইসেমিক ইনডেক্সও বেশি। তাই যাঁদের রক্তে ঘন ঘন শর্করা ওঠানামা করে, তাঁদের ডিমের সঙ্গে পাউরুটি না খাওয়াই ভাল। তবে, সকালের জলখাবারে কী ধরনের খাবার খাচ্ছেন, তার উপর রক্তে শর্করা বাড়া-কমা অনেকটাই নির্ভর করে। সাধারণ পাউরুটির বদলে যদি ‘হোলগ্রেন’ বা ‘মাল্টিগ্রেন’ পাউরুটি খেতে পারেন। তা হলে এই ধরনের সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকে।
রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখার আরও একটি টোটকা হল, খাবারের পরিমাণে লাগাম টানা। যে খাবারই খান না কেন, তা পরিমাণ বুঝে খেতে হবে। প্রয়োজনে ঘণ্টা দুয়েক অন্তর খাবার খাওয়া যেতে পারে। কিন্তু একবারে অনেকটা খাবার খেয়ে পেট ভরিয়ে ফেলার কোনও প্রয়োজন নেই। পাউরুটি যদি খেতেই হয়, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই হোলগ্রেন বা মাল্টিগ্রেন আটা দিয়ে তৈরি পাউরুটি খেতে হবে। সঙ্গে একটি ডিমের সাদা অংশ খাওয়া যেতে পারে।