গ্রিন টি-এর পুষ্টিগুণ বেশি না আমলকির চায়ের? ছবি: ফ্রিপিক।
বাড়িতে তৈরি আমলকির চা বেশি স্বাস্থ্যকর নাকি গ্রিন টি? এই নিয়ে নানা মুনির নানা মত। তবে পুষ্টিবিদেরা জানাচ্ছেন, বাড়িতে টাটকা আমলকি থেকে যে চা বানানো হয় তাতে গ্রিন টি-এর তুলনায় অনেক বেশি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে। এই চা খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তো বাড়বেই, ঠান্ডা লেগে সর্দি-কাশিও কম হবে।
পুষ্টিবিদ গরিমা গয়াল এই নিয়ে তাঁর মতামত দিয়েছেন। গরিমার কথায়, আমলকি কাঁচা চিবিয়ে খান বা রস করে— দু’রকম পদ্ধতিতেই উপকার পাবেন। শরীরে ভিটামিন সি-র ঘাটতি মিটিয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে আমলকির জুড়ি মেলা ভার। শরীর থেকে টক্সিন বা দূষিত পদার্থ বার করে দিতে পারে আমলকি। এই ফল টাটকা কিনে এনে তার থেকে চা বানানো যায়, আবার আমলকির গুঁড়োও ব্যবহার করা যায়। তবে পুষ্টিবিদের পরামর্শ, টাটকা ফল কিনে এনে তার চা বানিয়ে খাওয়াই বেশি স্বাস্থ্যকর।
আমলকির চা কী ভাবে বানাবেন?
এক কাপ চায়ের জন্য ১টি গোটা আমলকি ছোট টুকরো করে নিতে হবে, তার সঙ্গে লাগবে ৪-৫টি পুদিনা পাতা, ১ ইঞ্চির মতো আদার টুকরো।
জল ফুটিয়ে তাতে সমস্ত উপকরণ দিয়ে ভাল করে ফোটাতে হবে। ঘন হয়ে এলে তা ছেঁকে নিন। গরম গরম খেতে হবে আমলকির চা। খাওয়ার আগে তাতে মধুও মিশিয়ে নিতে পারেন।
এখন কথা হল গ্রিন টি-তেও প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে। পুষ্টিবিদ জানাচ্ছেন, দোকান থেকে যে গ্রিন টি কিনে আনা হয় তাতে অনেক সময়েই ভেজাল থাকে। কিন্তু বাড়িতে টাটকা আমলকি ফুটিয়ে যে চা বানানো হচ্ছে তা অনেক বেশি খাঁটি। দেখা গিয়েছে, কেনা গ্রিন টি-এর থেকে আমলকির চায়ে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট অনেক বেশি থাকে। তা ছাড়া গ্রিন টি বেশি খাওয়ায় ঠিক নয়। সকালে একেবারে খালি পেটে খাওয়া মোটেই ভাল নয়। কারণ, গ্রিন টি খাওয়া মাত্রই পাকস্থলীতে অ্যাসিড ক্ষরণের হার বেড়ে যায়। পরিপাক করার মতো যথেষ্ট খাবার না থাকায় আলসার হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যেতে পারে। এ ছাড়াও চা গাছের গোড়ায় ফ্লুরাইড নামের একটি উপাদান থাকে। বেশি মাত্রায় গ্রিন টি খেলে ফ্লুরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। যা দাঁত এবং হাড় ক্ষয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ।