Home Remedies for Diabetes

৫ ঘরোয়া টোটকা: শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওষুধের মতো কাজ করে

ডায়াবিটিস থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শে মেনে ওষুধ খেয়ে তো যেতেই হবে। সে সঙ্গে শর্করার মাত্রা কমাতে কয়েকটি ঘরোয়া টোটকার উপরেও ভরসা রাখতে পারেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৩ ১৪:০৮
Share:

শর্করার মাত্রা কমাতে কয়েকটি ঘরোয়া টোটকার উপরেও ভরসা রাখতে পারেন। প্রতীকী ছবি।

ডায়াবিটিস ধরা পড়লেই বেশ কিছু বিধিনিষেধ চলে আসে জীবনে। খাওয়াদাওয়া থেকে দৈনন্দিন যাপন, সব ক্ষেত্রে নিয়ম মেনে চলতে হয়। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে না রাখলে এরই হাত ধরে আরও অনেক সমস্যা শুরু হয়। তাই সাবধান থাকা জরুরি। শর্করার মাত্রা যদি এক বার বিপদসীমা পেরিয়ে যায়, তা হলে কিডনিতেও এর প্রভাব পড়তে পারে। তাই সচেতন এবং সাবধান হওয়া জরুরি। ডায়াবিটিস থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শে মেনে ওষুধ খেয়ে তো যেতেই হবে। সেই সঙ্গে শর্করার মাত্রা কমাতে কয়েকটি ঘরোয়া টোটকার উপরেও ভরসা রাখতে পারেন।

Advertisement

করলা

ডায়াবেটিকেদের নিয়ম করে করলা খাওয়া জরুরি। করলাতে রয়েছে চ্যারিটিন এবং মোমোরডিসিন নামক দু’টি উপাদান। যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। ডায়াবিটিসে ভুগছেন এমন অনেকেই খালি পেটে করলার রস খান। পাশাপাশি, ভাতের সঙ্গেও করলা সেদ্ধ খাওয়া যেতে পারে। রোজ খেলে সত্যিই উপকার পাবেন।

Advertisement

জাম

ডায়াবিটিস হলে সব ফল খাওয়া যায় না। কারণ কিছু ফলে ‘গ্লাইসেমিক ইনডেক্স’ (জিআই) অনেক বেশি। তবে ডায়াবেটিকরা যে ফলটি চোখ বন্ধ করে খেতে পারেন, তা হল জাম। ডায়াবিটিস থাকলে জাম খেলে উপকার পাওয়া যায়। বিশেষত জামের বীজের গুঁড়ো জলে গুলে খালি পেটে খেলে নিয়ন্ত্রণে থাকে শর্করার মাত্রা।

আদা

ডায়াবিটিসে সুস্থ থাকতে ভরসা হতে পারে আদা। বহুমুখী গুণ রয়েছে এই আনাজের। আদা শর্করার মাত্রা কমায় এবং ইনসুলিনের ভারসাম্য বজায় রাখে। তবে শুধু রান্নায় আদা খেলে হবে না। ডায়াবেটিকরা আদা-চা খেতে পারেন। সুফল পাবেন।

আমলকি

রক্তে শর্করার মাত্রা কমানোর অন্যতম ঘরোয়া পদ্ধতি হল আমলকির রস। আমলকিতে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, যা ডায়াবেটিকদের সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি শর্করার মাত্রা বাড়তে না দেওয়ার আরও একটি পথ হোক এই ফল।

অ্যাপল সাইডার ভিনিগার

সারা রাত খালি পেটে থাকার ফলে সকালে ডায়াবিটিস রোগীদের শর্করার মাত্রা খানিক বেশি থাকে। তাই রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে যদি দু’চামচ অ্যাপল সাইডার ভিনিগার খেতে পারেন, তা হলে আর এই সমস্যা হবে না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement