হিং রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না। ছবি: সংগৃহীত
ভারতীয় রান্নায় হিঙের ব্যবহার হয়ে আসছে প্রাচীন সময় থেকেই।শীতকালে হিঙের কচুরি বা হিংফোড়ন দেওয়া তরকারি বাঙালির কাছে এক লোভনীয় পদ। তবে আগের তুলনায় বাঙালির রান্নায় হিঙের ব্যবহার কমেছে। কিন্তু জানেন কি শরীর ভাল রাখতে হিঙের গুণ অসীম? বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা থেকে চটজলদি সমাধান পেতে পারেন।
অ্যান্টি-ভাইরাল, অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান সমৃদ্ধ হিং শরীর সুস্থ রাখতে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হিঙের জুড়ি মেলা ভার। ছবি: সংগৃহীত
হিং কী ভাবে যত্ন নেয় শরীরের?
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে
উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। হিং রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না। রক্ত চলাচলসচল ও স্বাভাবিক রাখে।
ওজন কমাতে
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হিঙের জুড়ি মেলা ভার। হালকা গরমজলে হিং মিশিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিন। রোজ সকালে খালি পেটে হিঙের জল ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
ত্বকের যত্নে
হিং ত্বক ভাল রাখতেও বেশ উপকারী। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ হিং ত্বকের কোষে জমে থাকা যাবতীয় বর্জ্য পদার্থ বার করে দিয়ে ত্বক রাখে সুস্থ ও সতেজ। মানসিক চাপ অকালবার্ধ্যেকের অন্যতম কারণ। হিং ‘অক্সিডেটিভ স্ট্রেস হরমোন’ নিঃসরণ রোধ করে মন ভাল রাখতে সাহায্য করে।
ঠান্ডা লাগা প্রতিরোধে
শীতকালে হিং ভেজানো জল পান করলে শীতকালীন সর্দি-কাশি, ঠান্ডা লাগা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, অতিরিক্ত শ্লেষ বা কফ জমার সমস্যা থেকেও দ্রুত মুক্তি দেয় হিং।