আলু ভাজা শরীরের পক্ষে হানিকর হয়ে উঠতে পারে। ছবি: সংগৃহীত
আলু পোস্ত, ঝুরঝুরে আলুভাজা, আলুর দম, বিরিয়ানির আলু— আলু পেলে আর অন্য কিছু চাই না বাঙালির। রোজকার খাবারের বিভিন্ন রূপে আলুর দেখা পাওয়া যায়। আলু কারও কারও একমাত্র পছন্দের সব্জি। আলু খাওয়ার অনেক উপকারিতা যেমন আছে তেমনই বেশি আলু খাওয়ার কিছু কুপ্রভাবও আছে।
১) আলু স্বাস্থ্যকর ও সুস্বাদু হলেও ১০০ গ্রাম আলুতে প্রায় ১১০ গ্রাম ক্যালোরি থাকে। প্রয়োজনের অতিরিক্ত বেশি ক্যালোরি শরীরের ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে।
ছবি: সংগৃহীত
২) আলুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট। অত্যাধিক কার্বোহাইড্রেট ওজন বাড়ানোর পাশাপাশি ডায়াবিটিসের সমস্যার সৃষ্টি করে।
৩) কার্বোহাইড্রেট ছাড়াও গ্লাইসেমিকের মাত্রা বেশি থাকলে ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। আলুর গ্লাইসেমিক মাত্রা প্রায় ৮০-র কাছাকাছি। সেই জন্য ডায়াবিটিসে আক্রান্ত রোগীদের আলু খেতে নিষেধ করেন চিকিৎসকরা।
৪) আলোর সংস্পর্শে এলে আলুতে ‘গ্লাইকোলেট’ নামে এক ধরনের বর্জ্য উপাদান জন্ম নেয়। কোনও কোনও আলুর খোসার উপর যদি সবুজ রঙের আভা দেখা যায়। সেটি আসলে ‘সোলানাইন’ নামক ক্ষতিকর বিষাক্ত উপাদান। মূলত কীটপতঙ্গ ও অন্যান্য জীবাণু থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য আলু এই রাসায়নিক পদার্থ তৈরি করে। শরীর ভাল রাখতে সবুজ আলু এড়িয়ে চলুন।
৫) সেদ্ধ আলু শরীরের জন্য ভাল। তবে আলু ভাজা শরীরের পক্ষে হানিকর হয়ে উঠতে পারে। ডোবা তেলে আলু ভাজার ফলে ‘এক্রিলামাইড’ নামে এক ধরনের রাসায়নিক যৌগ উৎপন্ন হয়, যার ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে শরীরে। সপ্তাহে দু’দিন বা তার বেশি আলু ভাজা খেলে বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে।