সুস্থ থাকতে জীবনে যাপনে কিছু বদল আনা প্রয়োজন। ছবি: সংগৃহীত
বছর ৩০-এর সায়ন্তনী একটি বহুজাতিক সংস্থায় কর্মরতা। বিপুল কাজের চাপ। নিজের জন্য আলাদা করে সময় পান না। তবে বেশ কিছু দিন ধরে সায়ন্তনী একটি সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন। অফিসে এসে কাজে বসতেই একরাশ ক্লান্তি ঘিরে ধরছে। সারাক্ষণই একটু ঘুম ঘুম ভাব। কাজেও ঠিক মতো উৎসাহ পাচ্ছেন না। খানিকক্ষণ কাজ করতেই বিশ্রাম নিতে ইচ্ছে করছে। এ সমস্যা সায়ন্তনীর মতো আরও অনেকের। বিশ্রামহীন জীবনযাপন, কাজের অত্যধিক চাপ, অনিয়িমিত খাওয়াদাওয়া এই সমস্যার মূলে আছে। কর্মব্যস্ততার কারণে নিজের দিকে আলাদা করে খেয়াল রাখা হয় না। তবে সুস্থ থাকতে জীবনে যাপনে কিছু বদল আনা প্রয়োজন।
ছবি: সংগৃহীত
পর্যাপ্ত ঘুমান
ইঁদুর দৌড়ের জীবনে ঘুমের ঘাটতি থেকেই যায়। পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। সারাক্ষণ ঘুম ঘুম ভাব ঘিরে থাকে। কাজেও ঠিক মতো গতি আসে না। এক জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দিনে অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন।
মানসিক অবসাদ এড়িয়ে যাবেন না
কর্মক্ষেত্র বা ব্যাক্তিগত জীবন নিয়ে অনেকেই মানসিক অবসাদে থাকেন। আবার সেগুলি এড়িয়েও যান। শরীরের যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি সুস্থ থাকতে যত্ন নিন মনেরও।
মন খুলে কথা বলুন
অনেকেই আছেন, যাঁরা বরাবরই অন্তর্মুখী। সব কথা নিজের মনের মধ্যেই রেখে দেন। ফলে এই অন্তর্মুখী চাপ শরীর ও মন উভয়কেই দুর্বল করে তোলে। ফলে ক্লান্ত লাগে।
বেরিয়ে পড়ুন ঘুরতে
অফিসের ব্যস্ততায় ঘুরতে যাওয়ার সময় পাচ্ছেন না? জীবনে কাজ যতটা গুরুত্বপূর্ণ, নিজেকে সুস্থ রাখা ততটাই গুরুত্ব বহন করে। ব্যস্ততা থাকবে, তার মাঝেও নিজের জন্য সময় আপনাকেই বার করে নিতে হবে। একঘেয়েমি কাটাতে পাড়ি দিন অন্য কোথাও। এতে শরীর ও মন ভাল থাকবে। কাজেও গতি ফিরবে।