একুশ শতকেও শরীরের যত্ন নিতে বেল সমানভাবে উপযোগী। ছবি: সংগৃহীত
শীত উধাও। বাতাসে গরম ও বসন্তের যুগলবন্দি। মাথার উপর রোদের তাপের তীব্রতা বাড়ছে। ঋতু পরিবর্তনের এই সময়ে শরীরের প্রতি বাড়তি যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। কাজের প্রয়োজনে অনেককেই বাইরে বেরোতে হয়। এখনও পর্যন্ত গরমের দাপট খুব না বাড়লেও আগে থাকতে সুরক্ষিত থাকতে ক্ষতি কী? আসন্ন গ্রীষ্মকালে শরীর সুস্থ ও ঠান্ডা রাখতে অন্যতম ভরসা হতে পারে বেল। প্রাচীনকাল থেকে স্বাস্থ্যরক্ষায় বেলের ব্যবহার হয়ে আসছে। একুশ শতকেও শরীরের যত্ন নিতে বেল সমানভাবে উপযোগী।
শরীর সুস্থ রাখতে কী ভাবে সাহায্য করে বেল?
১) কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় অনেকেই ভুগে থাকেন। তাঁদের জন্য বেল উপকারী হতে পারে। বেল পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। নিয়ম করে বেল খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা চিরতরে দূর হতে পারে।
২) আলসারের সমস্যায়
পাকা বেলের শাঁসে এক ধরনের ফাইবার আছে, যা আলসারের ওষুধ হিসাবে কাজ করে। নিয়মিত বেল খাওয়ার অভ্যাস আলসারের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।
বেল ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ছবি: সংগৃহীত
৩) ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে
ডায়াবিটিস আক্রান্তদের খাওয়াদাওয়ায় অনেক বিধিনিষেধ থাকে। মিষ্টি জাতীয় খাবার হোক বা ফল— অনেক কিছুই খাওয়া মানা। তবে বেল ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। বেলে মেথানল নামের একটি উপাদান থাকে। যা রক্তে শর্করার পরিমাণ স্বাভাবিক রাখে।
৫) আর্থ্রাইটিসের ব্যথা কমাতে
আর্থ্রাইটিসের ব্যথা, বেদনায় অনেকেই কষ্ট পান। ব্যথা বাড়লে হাঁটাচলা করাই দুষ্কর হয়ে ওঠে। আর্থ্রাইটিসের ব্যথা কমাতে সক্ষম বেল। বেল খেতে পছন্দ করলেও রোজের খাদ্যতালিকায় বেল সব সময় থাকে না। রোজ না হলেও অন্তত সপ্তাহে ৩-৪ দিন বেল খেতে পারেন। মিলবে সুফল।