৪০-এ পা দেওয়ার পর নিজের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখা আসল কথা। প্রতীকী ছবি।
বয়স চল্লিশের কোঠা পেরোলেই বাড়তি সতর্কতা নিতে বলেন চিকিৎসকেরা। কারণ তখন থেকেই শরীরের হাল খারাপ হতে শুরু করে। ছোটখাটো নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। একটু কিছু খেলেই বদহজম, গ্যাস-অম্বল, কোমরে ব্যথা, দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যাওয়ার মতো কিছু সমস্যা দেখা দেয়। তাই ৪০-এ পা দেওয়ার পর নিজের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখা আসল কথা। না হলে সুস্থ থাকা দায় হয়ে উঠবে।
১) সব সময়েই ব্যস্ত? হাঁটার সময় একেবারেই পান না? তা বললে কী করে চলবে? ৪০ পেরোতেই নিয়মিত হাঁটাচলা করা প্রয়োজন। তা না হলে শরীরে বাসা বাঁধবে নানা রোগ। সুস্থ থাকতে প্রতি দিন অন্তত ৪৫ মিনিট হাঁটুন। এতে হজমক্ষমতা বাড়বে। ফলে শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমার আশঙ্কাও থাকবে না।
২) বংশগত অসুস্থতার ইতিহাস সম্পর্কে জেনে নিন। কারণ অনেক সময় প্রজন্মগত কারণে রোগ বাসা বাঁধে শরীরে। এই বিষয়টি জেনে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন। তা হলে অন্তত চিকিৎসকের পরামর্শে ডায়াবিটিস বা হার্টের অসুখের মতো বংশগত রোগ সম্পর্কে আগাম ব্যবস্থা নিতে পারবেন।
৩) চল্লিশের পর নিয়মিত শারীরিক পরীক্ষা করানো জরুরি। পরীক্ষায় যদি কোনও সমস্যার কথা উঠে আসে, তা হলে অতি অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। চিকিৎসকের পরামর্শে নিজের জীবনশৈলীও বদলে ফেলতে পারেন। এতে বড়সড় অসুখের ঝুঁকি এড়াতে পারবেন।
৪) নিয়মিত পার্টি করেন? ৪০-এর কোঠা পেরোলে তাতে রাশ টানুন। কারণ হইহুল্লোড় মানেই বাইরের খাবার খাওয়া। তাতে স্বাদের যত্ন হলেও, শরীর অবহেলায় থাকে। বরং প্রতি দিনের ডায়েটে থাকুক পালং শাক, ব্রকোলি, ফুলকপি, টোম্যাটো, অঙ্কুরিত ছোলার মতো ফাইবারযুক্ত খাবার। এতে কোলেস্টরল, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবিটিস এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
৫) সময় মতো খাওয়াটাও কিন্তু জরুরি। দিনের যে কোনও সময়ে খেলে হজমজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে। দীর্ঘস্থায়ী হজমের গোলমালও কিন্তু হতে পারে এর ফলে। পাতে নুন খাওয়া বন্ধ করে দিন। নুন এমনিতে শরীরের জন্য ভাল নয়। বয়স একটু বাড়লে নুন এড়িয়ে চলাই ভাল। বেশি নুন খেলে উচ্চ রক্তচাপ, হৃদ্রোগ হানা দিতে পারে।