অবৈধ অভিবাসীদের দেশে ফেরানো শুরু করল ট্রাম্প সরকার। — ফাইল চিত্র।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসাবে ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই সে দেশে শুরু গিয়েছে অবৈধ অভিবাসী তাড়ানোর প্রক্রিয়া! সেই আবহে এ বার ৫০০-রও বেশি অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেফতার করল ট্রাম্পের প্রশাসন। শুরু হল তাঁদের দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়া।
ট্রাম্প মসনদে বসার তিন দিনের মধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে বিনা নথিতে আমেরিকায় বসবাস করা ভিন্দেশিদের ধরে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া। প্রথম ধাপে গ্রেফতার করা হয়েছে ৫৩৮ জন অবৈধ অভিবাসীকে। শুক্রবার হোয়াইট হাউসের তরফে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রেসসচিব ক্যারোলিন লেভিট। লেভিট জানিয়েছেন, ধৃতেরা সকলেই নানা অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত। তাঁদের মধ্যে একটি সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের চার সদস্যও রয়েছেন। বাকিদের অনেকে আবার শিশুদের উপর যৌন নির্যাতনের মতো গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত। ইতিমধ্যেই তাঁদের নিজের নিজের দেশে পাঠানোর তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে আমেরিকা। সামরিক বিমানে করে তাঁদের দেশে পাঠানো হচ্ছে।
ধৃতদের কয়েক জনের নাম ও অপরাধের তালিকাও প্রকাশ করেছে হোয়াইট হাউস। সেই তালিকায় চুরি-ডাকাতির পাশাপাশি ধর্ষণ এবং শিশুদের যৌন নির্যাতনের মতো গুরুতর অপরাধও রয়েছে। আমেরিকার অভিবাসন সংক্রান্ত সংস্থা ‘ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টম্স এনফোর্সমেন্ট’-র হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন তাঁরা।
দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ট্রাম্পের নজর রয়েছে অবৈধ অভিবাসীদের উপর। চুরি-ছিনতাইয়ে অভিযুক্ত অবৈধ অভিবাসীদের ধরপাকড় করতে ‘লেকেন রিলে অ্যাক্ট’ নামে একটি নতুন আইন আনার পথে এগোচ্ছে আমেরিকা। ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আমেরিকার সেনেটে এ সংক্রান্ত বিল ৬৪-৩৫ ভোটে পাশ হয়েছে। বিলটি আইনে পরিণত হলে অভিযুক্ত অভিবাসীদের আটক করতে পারবে আমেরিকার প্রশাসন। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ১২ জন ডেমোক্র্যাটও সেনেটে বিলটিকে সমর্থন জানিয়েছেন। এ বার বিলটি যাবে আমেরিকার কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভ্সে। সেখানেও বিলটি সহজেই পাশ হয়ে যাওয়ার কথা। দুই কক্ষে বিলটি পাশ হওয়ার পর ট্রাম্পের সবুজ সঙ্কেত মিললেই তা আইনে পরিণত হয়ে যাবে। এই বিল অনুযায়ী, চুরি, ছিনতাই, লুটপাট বা দোকান থেকে জিনিসপত্র হাতানোর মতো ঘটনায় অভিযুক্ত অভিবাসীদের আটক করতে পারবে ‘ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টম্স এনফোর্সমেন্ট’।