শরীর সুস্থ এবং সচল রাখতে যেমন সব কাজ করতে হয় নিয়ম মেনে, তেমন জল খাওয়ারও নিয়ম থাকে।
এমন অনেকেই আছেন যাঁরা দিনের একটি সময়ে অনেকটা জল খান। সকালে উঠেই এক বারে এক বোতল জল খেয়ে ফেলেন। তার পর হয়তো আবার অনেক ক্ষণ জল খাওয়াই হয় না। তেষ্টা পেলেও ততটা খেয়াল করেন না জল খাওয়ার কথা। কেউ আবার এর একেবারে উল্টো। মাঝেমাঝে দু’-এক চুমুক জল চাই। না হলেই মনে হয় যেন, গলা শুকিয়ে যাচ্ছে। কোন পদ্ধতিটি আসলে শরীরের জন্য ঠিক?
কেউ শুনলেই আগে হাসবেন। এ আবার কোনও আলোচনার প্রসঙ্গ হতে পারে নাকি! জল তো যার যেমন ইচ্ছা, খাবেন। তেষ্টা পেলে খাবেন, না হলে খাবেন না।
শরীরের বেশ অনেকটা পরিমাণ জল প্রয়োজন। দৈনিক অন্তত ৮ থেকে ১০ গ্লাস জল খেলে ভাল হয়। কিন্তু তা এক বারে খেলে চলবে না। খেতে হবে কিছু ক্ষণ অন্তর অন্তর।
শরীর সুস্থ এবং সচল রাখতে যেমন সব কাজ করতে হয় নিয়ম মেনে, তেমন জল খাওয়ারও নিয়ম থাকে। এই নিয়ম মেনে জল খেতে পারলে দ্রুত ওজন কমবে।
শরীরে জলের পরিমাণ কমে গেলে ক্লান্তি আসে। তার জেরে কাজের ইচ্ছা কমতে থাকে।
নিয়ম মেনে কিছু ক্ষণ অন্তর জল খেলে আর কী উপকার হয় শরীরের?
১) অনেকটাই কাজের শক্তি বাড়ে। শরীরে জলের পরিমাণ কমে গেলে ক্লান্তি আসে। তার জেরে কাজের ইচ্ছা কমতে থাকে। জল খুব কম খেলে রোজের কাজ সারার ইচ্ছাও কমে যায়।
২) নিয়ম মেনে পরিমাণ মতো জল খেলে হজমশক্তি ভাল থাকে। আর খাবার ভাল ভাবে হজম হলে তবেই ওজন কমবে। এক গ্লাস করে জল মাঝেমাঝে খেতে থাকলে অপ্রয়োজনীয় খাবার খাওয়ার ইচ্ছাও কম হয়। তা-ও সাহায্য করে।
৩) বার বার অল্প করে জল খেলে ত্বক ভাল থাকে। শরীরে জমে থাকা অপ্রয়োজনীয় দ্রব্য বেরিয়ে যায়। চেহারায় ঔজ্জ্বল্য ফেরে।