‘চিট মিল’-এ স্বাদ ও স্বাস্থ্য দুই-ই রক্ষা হবে! ছবি: শাটারস্টক।
পুষ্টিবিদের পরামর্শ মেনেই হোক বা নেট ঘেটে, পুজোর আগে ওজন কমানোর চেষ্টা করেন অনেকেই। সেই মতো বেশ কয়েক দিন জিভে লাগাম দিয়ে, বাইরের খাওয়াতেও ইতি টেনেছেন। শরীরচর্চা করতে শুরু করেছেন ভাল মতোই। এই কায়দা করে ওজন কমিয়ে ফেললেও ‘চিট মিল’ খাওয়ার ঠেলায় অনেকেই সেই ওজন আর ধরে রাখতে পারেন না।
ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়ে সাধের বিরিয়ানি থেকে চাউমিন, সবের সঙ্গেই আড়ি করেছেন? তাই বলে কি মাঝেমধ্যে একটু ভালমন্দও খেতে নেই! পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে মাঝেমাঝে ভালমন্দ খাওয়াই যায়, তবে তা যেন স্বাস্থ্যের উপর খুব বেশি ক্ষতি না করে, সে দিকটিও মাথায় রেখে চলতে কবে। ‘চিট মিল’-এ কী কী খাওয়া যায়, যা আপনার স্বাদ ও স্বাস্থ্য দুইয়েরই সমান খেয়াল রাখবে?
১) ‘চিট মিল’-এ অনেকেই পিৎজা খেতে পছন্দ করেন। চেষ্টা করুন যদি বাড়িতে আটার তৈরি পিৎজা বানিয়ে খেতে পারেন। আর একান্তই যদি বাইরে থেকে কিনে খেতে হয়, তা হলেও কোনও মতেই চিজ বার্স্ট পিৎজা নয়, সাধারণ পিৎজা খান।
২) স্বাস্থ্যকর চাট বানিয়েও খেতে পারেন। ছোলা সেদ্ধ করে, দই, পুদিনা পাতার চাটনি ও মিষ্টি চাটনি দিয়ে খেতেই পারেন।
চিট মিল’-এ অনেকের মিষ্টি খেতে ইচ্ছা করে। প্রতীকী ছবি।
৩) বাড়িতে তৈরি বার্গারও খাওয়া যায়। মাল্টিগ্রেন পাউরুটির মাঝে অল্প তেলে ভাজা সব্জির টিক্কি, হালকা সস্ ও মেয়োনিজ দিয়ে খেতে পারেন। সঙ্গে অবশ্যই লেটুস, কাঁচা পেঁয়াজ ও টম্যাটো দিতে ভুলবেন না।
৪) রেস্তরাঁয় গিয়ে সুশিও খাওয়াই যায়। স্বাস্থ্যকর কার্বহাইড্রেট ও প্রোটিনের দারুণ মেলবন্ধন হল সুশি।
৫) পাস্তা খেতে ভালবাসেন? তা হলে বাইরে থেকে নয়, বাড়িতে বানানো আটার পাস্তা খান। তবে ওয়াইট সস্ পাস্তা নয়, টাটকা টম্যাটো, পুদিনাপাতা ও অলিভ অয়েল দিয়ে বানিয়ে ফেলতে পারেন রেড সস্ পাস্তা!
৬) ‘চিট মিল’-এ অনেকের মিষ্টি খেতে ইচ্ছা করে। সে ক্ষেত্রে ওট্সের প্যানকেক খেতে পারেন। উপর থেকে হরেক রকম ফল, বাদাম ও মধু বা মেপ্ল সিরাপ ছড়িয়ে খেতে পারেন প্যানকেক।