শারীরিক গঠন থেকে জীবনযাপনের ধারা, সবের উপরে নির্ভর করে কত ক্ষণে কমবে ওজন।
ওজন ঝরানো আর মেজ ঝরানোর হিসাব একেবারে আলাদা। অনেকেই ভাবেন শরীরের যে অংশে মেদ বেশি, আগে সেখান থেকে ওজন কমুক। সেই মতো কসরতও হয়তো করেন। কিন্তু কর্তার ইচ্ছায় কর্ম কি সব সময়ে হয়?
শারীরিক গঠন থেকে জীবনযাপনের ধারা, সবের উপরে নির্ভর করে কত ক্ষণে কমবে ওজন। স্বাস্থ্য সংক্রান্ত এক আন্তর্জাতিক পত্রিকার করা একটি সমীক্ষার ভিত্তিতে জানা গিয়েছে, পুরুষ ও মহিলাদের ক্ষেত্রে ওজন কমার নিয়ম আলাদা। আপনি পুরুষ না মহিলা, তার উপর নির্ভর করবে কোন অংশ থেকে ওজন আগে কমবে। কতটা সময় লাগবে কিংবা কোন জায়গা থেকে চর্বি ঝরতে শুরু করবে, তা-ও এর উপরে নির্ভরশীল।
ছেলেদের ক্ষেত্রে ওজন কমতে শুরু করে প্রথম শরীরের উপরের অংশ থেকে। মেয়েদের ক্ষেত্রে তা হয় কোমর থেকে। অর্থাৎ, কোনও পুরুষ আগেই পেটের মেদ ঝরাতে চাইলেও তা হয়তো হবে না। ওজন ও মেদ, দুই-ই কমবে নিজ নিয়মে। তা তিনি পেটের ব্যায়াম যতই করুন না কেন!
এক এক জনের এক এক ভাবেই কমবে ওজন। সে কারণেই ব্যক্তি বিশেষে ব্যায়াম ও ডায়েটের নিয়মও আলাদা হয় সকলের ক্ষেত্রেই।
তার মানে ব্যায়ামের মাধ্যমে নির্ধারণ করা যাবে না কোন জায়গা থেকে বেশি চর্বি কমাবেন আপনি?
গবেষকেরা বলছেন, সব সময়ে এমনটা না-ও হতে পারে। ওজন কমানোর ক্ষেত্রে সবটা নিজের হাতে থাকে না। শারীরিক গঠনই শেষ কথা।
মেয়েদের শরীরের গঠন এক প্রকার। ছেলেদের আবার অন্য রকম। সব পুরুষেরও আবার শরীরের গঠন এক নয়। তাই প্রত্যেক পুরুষেরও ওজন ঝরার নিয়ম এক নয়। এক এক জনের এক এক ভাবেই কমবে ওজন। সে কারণেই ব্যক্তি বিশেষে ব্যায়াম ও ডায়েটের নিয়মও আলাদা হয় সকলের ক্ষেত্রেই। এক জনের যা প্রয়োজন, অন্য জনের শরীরে তা হয়তো একেবারেই প্রয়োজন হয় না।