রোগা হতে অনেকেই ভরসা রাখেন সামুদ্রিক খাবারের উপর। ছবি: সংগৃহীত
ওজন কমানো একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। এর কোনও চটজলদি উপায় নেই। শরীরচর্চা, ব্যায়াম, খাওয়াদাওয়ায় রাশ টানার মতো বিভিন্ন বিধিনিষেধ মেনে চলা প্রয়োজন। ওজন কমানোর এই পর্বে কী খাচ্ছেন সেটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সময় ভাজাভুজি, তেল-মশলাদার খাবার একেবারেই এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। তবে রোগা হতে অনেকেই ভরসা রাখেন সামুদ্রিক খাবারের উপর।
‘সি ফুড’-এ ক্যালোরির পরিমাণ খুবই কম। ফ্যাটমুক্ত প্রোটিনের পরিমাণ বেশি। সামুদ্রিক মাছ বা অন্যান্য খাবার ওজন কমানোর ক্ষেত্রে দারুণ কার্যকর। সেই সঙ্গে স্বাস্থ্যকরও।
সামুদ্রিক মাছ রয়েছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। যা শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে সাহায্য করে। সামুদ্রিক মাছে ক্যালোরির পরিমাণও নেই বললেই চলে। ফলে ওজন কমাতে অনায়াসে ভরসা রাখতে পারেন সামুদ্রিক খাবারে। রোগা হতে সামুদ্রিক খাবার খাওয়ার সময় ছোট ছোট কিছু ভুল ওজন কমানোর বদলে বাড়িয়ে দিতে পারে।
দ্রুত রোগা হতে কোন ভুলগুলি এড়িয়ে চলবেন?
১) খাবারের স্বাদ বাড়িয়ে দিতে মাখনের জুড়ি মেলা ভার। সামুদ্রিক কয়েকটি খাবার মাখন দিয়ে খেতে বেশি ভাল লাগে। কিন্তু ওজন কমাতে চাইলে খাবারে ভুলেও মেশাবেন না মাখন। পরিবর্তে অলিভ অয়েল বা অন্য কোনও মশলা মিশিয়ে নিতে পারেন।
২) সামুদ্রিক খাবার ওজন কমাতে সাহায্য করে, সে কথা ভুল নয়। তবে তা তেলে ভেজে খেলে আদৌ কোনও সুফল মেলে না। সামুদ্রিক মাছ ক্যালোরিমুক্ত ফলে ভেজে খেলেও ওজন বাড়বে না— এমন ধারণা ভুল। তেলে সংস্পর্শে এসে সব অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠতে পারে। তাই ওজন কমাতে বেক বা গ্রিল করা খাবারেই ভরসা রাখুন।
৩) সামুদ্রিক মাছে ফ্যাটের পরিমাণ বেশি বলে অনেকেই ওজন কমাতে তা এড়িয়ে চলেন। কিন্তু সামুদ্রিক মাছে থাকা ফ্যাট স্বাস্থ্যকর। ওজন বাড়ায় না। বরং কমাতে সাহায্য করে। তাই রোগা হতে সামুদ্রিক মাছ এড়িয়ে চলার কোনও কারণ নেই।