কোন খাবারে কমবে ক্যানসারের ঝুঁকি? ছবি: সংগৃহীত।
ক্যানসারের মতো মারণরোগের হাত থেকে মুক্ত হয়ে ওঠার চাবিকাঠির সন্ধান কবে খুঁজে পাওয়া যাবে, তা সত্যিই অধরা। অথচ বিশ্বজুড়ে ক্যানসার আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। শরীরের বিভিন্ন অংশে ক্যানসার কোষ মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে। ক্যানসার নিয়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ঘরে ঘরে। ক্যানসার নির্মূলের ওষুধ আবিষ্কার না হলেও, মারণরোগ ঠেকাতে ভরসা রাখতে পারেন কিছু খাবারের উপর। সেলেনিয়াম ক্যানসার প্রতিষেধক হিসাবে কাজ করে। তাই সেলেনিয়াম আছে এমন খাবার বেশি করে খেতে হবে। কোন খাবারগুলি খেলে ক্যানসারের ঝুঁকি কমবে?
হলুদ
প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক হিসাবে হেঁশেলের এই মশলার জুড়ি নেই। কোলনের কোনও রকম টিউমার বা ঘা কমাতে হলুদ বিশেষ উপকারী। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, হলুদ কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি রুখতেও এই মশলা সাহায্য করে।
গাজর
গাজরের মতো অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট জাতীয় সব্জি ফ্যাট অক্সিডেশনে বাধা দেয় ও শরীরে ক্যানসারের কোষ উৎপাদন কমায়। গাজরের স্যালাড থেকে শুরু করে বিভিন্ন রান্নায় গাজর দিলে তা কোলন ক্যানসার, পাকস্থলীর ক্যানসার রুখতে সাহায্য করে।
গ্রিন টি
ইজিসিজি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ গ্রিন টি শরীরে প্রদাহ রক্ষা দমন করতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও কোষের সুরক্ষাও প্রদান করে গ্রিন টি। ক্যানসারের ঝুঁকি এড়াতে গ্রিন টি-র জুড়ি মেলা ভার।
মাশরুম
অনেক মেডিক্যাল পত্রিকাতে, মাশরুমকে ক্যানসার প্রতিরোধের একটি অন্যতম খাদ্য হিসাবে ধরা হয়েছে। রোজ না হলেও সপ্তাহে দুই থেকে তিনদিন খেতে পারেন মাশরুম। শরীরে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের পরিমাণ বৃদ্ধি করতেও মাশরুম প্রভূত সাহায্য করে।
মুরগির মাংস
মুরগির মাংসে সেলেনিয়াম তো আছেই, তা ছাড়া অ্যামিনো অ্যাসিডেরও জোগান দেয় এই খাবার। সেলেনিয়াম থাকায় মুরগির মাংস শরীরে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের পরিমাণ বৃদ্ধি করে, প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।