ডায়াবেটিকদের বিশেষ ডায়েট। ছবি: সংগৃহীত।
খাদ্যরসিকদের ডায়াবিটিস হলে বেশ মুশকিল। কারণ, রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে থাকা মানেই বেশ কিছু খাবারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা। কী খাচ্ছেন, তার উপর নির্ভর করে ডায়াবিটিস আদৌ বশে থাকবে কি না। আর রক্তে শর্করার মাত্রা যদি বিপদসীমা পেরিয়ে যায়, তা হলে পরিণতি যে খুব একটা ভাল হবে না, সেটা স্পষ্ট। তার চেয়ে খাওয়াদাওয়ায় নিয়ম মেনে চলা সুস্থ থাকার সবচেয়ে সহজ পথ। ডায়াবেটিকদের খাওয়াদাওয়ায় বিধিনিষেধ থাকা জরুরি। তবে তার মানে পছন্দসই কোনও খাবার খাওয়া যাবে না, সেটা একেবারেই নয় বলে মনে করেন পুষ্টিবিদ অর্পিতা দেব। তাঁর মতে, ডায়াবিটিস হলেও সব খাবার খাওয়া যায়। তবে পরিমাণের দিকে নজর দিতে হবে। কী খাচ্ছেন এবং কতটা খাচ্ছেন— ডায়াবেটিকদের ক্ষেত্রে এই দু’টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। অর্পিতা বলেন, ‘‘এমনিতে আমরা কেউ মেপে খাবার খাই না। কিন্তু, ডায়াবিটিস ধরা পড়লে মেপে খাওয়া জরুরি। উচ্চতা, বয়স, ওজন অনুযায়ী ডায়াবেটিকদের ডায়েট ঠিক করা জরুরি। প্রতি দিন যাতে সঠিক পরিমাণ ক্যালোরি শরীরে যায়, সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। ওই ক্যালোরির ৫০-৫৫ শতাংশ কার্বোহাইড্রেট, ১৫-২০ শতাংশ প্রোটিন, এবং বাকি পরিমাণ ফ্যাট। এই নিয়ম মেনে খাবার খেলেই সুস্থ থাকা সহজ হবে।’’
কী খাবেন, কোনগুলি খাবেন না, তা নিয়ে দ্বিধায় থাকেন ডায়াবিটিসের রোগীরা। তাঁদের জন্য রইল কিছু খাবারের খোঁজ, যেগুলি নির্ভয়ে তাঁরা খেতে পারেন। পরিমাণে বেশি হলেও ক্ষতি নেই।
বেরি এবং বাদাম
ডায়াবিটিস থাকলে টক দই খাওয়া ভাল। অনেকে নিয়ম করে খানও। তবে, শুধু টক দই না খেয়ে সঙ্গে মিশিয়ে নিতে পারেন বেরি আর বাদাম। বাদামে প্রোটিন, ফাইবার, ফ্যাট, উচ্চ মাত্রার অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, সব কিছুই থাকে। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে না। বেরিও একই রকম ভাবে উপকারী ডায়াবেটিকদের জন্য।
ওটমিল
ওটমিল হল দ্রবণীয় ফাইবারের সমৃদ্ধ উৎস। যা কার্বোহাইড্রেট শোষণ কমাতে সাহায্য করে। তা ছাড়া ডায়াবেটিকদের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। ওটমিল ওজন বাড়তে দেয় না।
ডাল
যে কোনও ডাল ডায়াবেটিকদের জন্য খুবই উপকারী। ডালে ফাইবার, প্রোটিন ভরপুর পরিমাণে থাকে। শরীরও পর্যাপ্ত পুষ্টি পায়। তা ছাড়া প্রোটিন, ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেটের ঘাটতিও পূরণ করে ডাল।