শীতে দইয়ের সঙ্গে কিছু খাবার না খাওয়াই ভাল। ছবি: সংগৃহীত।
শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা— শরীর সুস্থ রাখতে অন্যতম ভরসা হল টক দই। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা থেকে পেটের গোলমাল ঠেকানো— সবেতেই টক দইয়ের জুড়ি মেলা ভার। দুধের চেয়ে পুষ্টিগুণ অনেক বেশি টক দইয়ে। হাড় মজবুত করতেও টক দই অসামান্য। কারণ দইয়ে রয়েছে ক্যালশিয়াম, যা হাড় ক্ষয়ে যাওয়া বা অস্টিয়োপোরেসিসের ঝুঁকি কমাতে পারে। এই কারণে শীতকালে আরও বেশি করে দই খাওয়ার কথা বলে থাকেন পুষ্টিবিদেরা। অনেকে অবশ্য ঠান্ডা লেগে যাওয়ার ভয়ে শীতে দই খেতে চান না। চিকিৎসকেদের মতে, শীতে দই খেলে কোনও সমস্যা হয় না। তাই শীতে চুটিয়ে খেতে পারেন টক দই। তবে কয়েকটি খাবার টক দইয়ের সঙ্গে না খাওয়াই ভাল। তাতে আবার হিতে বিপরীত হতে পারে।
মাছ
দই দিয়ে মাছ রান্না করলে খেতে মন্দ লাগে না। তবে দইয়ের সঙ্গে মাছের এই যুগলবন্দি নাকি একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। মাছ এবং দই, দু’টিতেই প্রোটিন রয়েছে ভরপুর পরিমাণে। ফলে একসঙ্গে অত্যধিক পরিমাণ প্রোটিন শরীরে গেলে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ভাজাভুজি
পরোটার সঙ্গে দই খেতে অনেকেই পছন্দ করেন। তবে পুষ্টিবিদেরা অবশ্য জানাচ্ছেন, তেলে ভাজা কোনও খাবারের সঙ্গে দই না খাওয়াই শ্রেয়। হজমের গোলমাল, পেটখারাপের আশঙ্কা তো থাকেই, সেই সঙ্গে শারীরিক দুর্বলতা তৈরি হয়।
পেঁয়াজ
দই এবং পেঁয়াজ দিয়েই তৈরি হয় দারুণ রায়তা। বাড়িতেই প্রায় অনেকেই তৈরি করে থাকেন এই খাবার। পুষ্টিবিদেরা জানাচ্ছেন, পেঁয়াজ আর দই আলাদা আলাদা ভাবে স্বাস্থ্যকর হলেও একসঙ্গে খেলে মুশকিল হতে পারে। তার মধ্যে অন্যতম হল পেটের নানা সমস্যা। সেই সঙ্গে ত্বকেও এর প্রভাব পড়ে।
দুধ
দুধ এবং দই, কখনও একসঙ্গে খাবেন না। দই এবং দুধ নিঃসন্দেহে শরীরের জন্য উপকারী। দু’টি খাবার একসঙ্গে খেলে ডায়েরিয়া পর্যন্ত হতে পারে। সেই সঙ্গে অম্বল, গ্যাস এবং পেটের আরও অনেক গোলমাল হয়। তাই এই বিষয়টিতে সাবধানে থাকা জরুরি।