বাব্ল টি খেয়েই প্রাণ হারাতে বসেছিলেন এক তরুণী। ছবি: সংগৃহীত।
জল খেতেন না বললেই চলে। বদলে সারা দিন খেতেন বাব্ল টি। ২০ বছরের তরুণীর কিডনি থেকে অস্ত্রোপচার করে বার করা হল ৩০০টি পাথর। চিকিৎসকেদের অনুমান, সারা ক্ষণ বাব্ল টি খাওয়ার জন্যই এমন হয়েছে।
তাইওয়ানের বাসিন্দা বছর কুড়ির ওই তরুণীর সারা দিনের খাবার বলতে কয়েক কাপ বাব্ল টি। রেস্তরাঁয় গেলেও অন্য খাবার নয়, বাব্ল টি অর্ডার করেন। বাড়িতে মাঝেমাঝে কালেভদ্রে অল্প খাবার খান। কিন্তু তা-ও ন’মাসে-ছ’মাসে। কয়েক দিন আগে হঠাৎই ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই তরুণী। ডান দিকের কোমরে যন্ত্রণায় প্রায় শয্যাশায়ী হয়ে পড়েছিলেন তিনি।
যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে তিনি হাসপাতালে যান। সিটি স্ক্যান করে জানা যায়, তাঁর কি়ডনিতে অজস্র পাথর জমা হয়েছে। অস্ত্রোপচার না করলে যে কোনও মুহূর্তে বিপদ ঘটে যেতে পারে। তড়িঘড়ি অস্ত্রোপচার করা হয়। কিডনিতে কতগুলি পাথর জমে আছে স্ক্যানের রিপোর্টে তা বোঝা যায়নি। অস্ত্রোপচার করতেই একের পর এক পাথর বেরোতে থাকে। যা দেখে রীতিমতো থতমত খেয়ে যান চিকিৎসকেরা।
পর্যাপ্ত পরিমাণে জল না খাওয়া, সময়ে খাবার না খাওয়ার মতো অভ্যাসে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি থাকে। কিন্তু ৩০০টি পাথরের রহস্য উদ্ঘাটন করতে উদগ্রীব হয়ে পড়েন চিকিৎসকেরা। তরুণী একটু সুস্থ হতেই তাঁর সঙ্গে কথা বলে বাব্ল টি-র প্রতি ভালবাসার কথা জানতে পারেন চিকিৎসকেরা। এই ধরনের পানীয়ে কৃত্রিম চিনি মেশানো থাকে। সেই চিনি অত্যধিক পরিমাণে শরীরে যাওয়ার কারণেই যে কি়ডনিতে পাথর হয়েছে, সে ব্যাপারে একশো শতাংশ নিশ্চিত চিকিৎসকেরা।