যে কোনও ধরনের যন্ত্রণা কমাতে হলুদের কোনও জুড়ি নেই। ছবি: সংগৃহীত
ব্যথা হলেই মুঠো মুঠো ওষুধ মুখে পুরে দেওয়া আমাদের অনেকেরই অভ্যাস। পেনকিলারের সাহায্যে দ্রুত উপশম মিললেও দীর্ঘদিন চাপা থেকে যায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ রোগ। পরে যখন তা ধরা পড়ে, তখন অনেকটা দেরি হয়ে যায়। তা ছাড়া মাত্রাতিরিক্ত পেনকিলার ওষুধ শরীরে অনেক জটিলতা তৈরি করতে পারে। তবে মনে হতেই পারে, যে ওষুধ না খেলে ব্যথার উপশম হবে কী করে?
আপনার হেঁশেলেই রয়েছে বেশ কিছু এমন প্রাকৃতিক উপাদান যার ফলে ব্যথা নিমেষেই দূর হবে আর শারীরিক কোনও ক্ষতিও হবে না। স্বাভাবিক উপায়ে কিছু খাবারের মাধ্যমেই উপশম করুন ব্যথার। জেনে নিন কিসের ব্যথায় কী খেলে উপকার পাবেন।
১) ঋতুস্রাবের সময় অসহ্য যন্ত্রণায় ভোগেন? এক টুকরো আদার কুচি খাওয়া মাত্র শরীরে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানের মাত্রা অনেকটাই বেড়ে যায় যে তার প্রভাবে ঋতুস্রাবের সময় যন্ত্রণা তো কমেই, সেই সঙ্গে পেশির ব্যথা, বাতের যন্ত্রণা এবং পেটের ব্যথা কমতেও সময় লাগে না।
২) যে কোনও ধরনের যন্ত্রণা কমাতে হলুদের কোনও জুড়ি নেই। হলুদে কারকিউমিন নামে এক ধরনের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান থাকে, যা গাঁটের ব্যথা এবং পেশির যন্ত্রণা কমাতে সাহায্য করে।
৩) দইয়ে রয়েছে বেশ কিছু উপকারী উপাদান যা পেটের যন্ত্রণা কমাতে বিশেষ ভূমিকা নেয়। বিশেষত, ঋতুঃস্রাবের সময় যন্ত্রণা কমাতে দই খুবই উপকারী। অনেক সময় ঠিক মতো হজম না হওয়ার কারণে পেটে ব্যথা হয়। দই খেলে হজম ভাল হয়, পেটের ব্যথার উপশম মেলে।
প্রতীকী ছবি
৪) পুদিনা পাতাতেও রয়েছে ব্যথা উপশমকারী বৈশিষ্ট্য। পেশির ব্যথা, দাঁতের ব্যথা, মাথাব্যথা ও শিরার যন্ত্রণাতেও পুদিনা মুক্তি দিতে পারে। পুদিনা পাতার জল হজমের সমস্যাও দূর করে। খালি পেটে বেশ কয়েকটি পুদিনা পাতা চিবিয়ে খেলেও বেশ উপকার পাওয়া যায়।
৫) প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস জলে এক চামচ করে অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার এবং মধু মিশিয়ে সেই মিশ্রণটি পান করুন। দেখবেন, যে-কোনও ধরনের ব্যথা কমে যেতে সময় লাগবে না। বিশেষ করে যাঁদের শিরায় টান ধরার সমস্যা আছে, তা থেকে অনেকটাই আরাম পাবেন।
৬) আঙুরে থাকে রেসভেরাট্রল নামক উপাদান যা থাকে বাঁতের ব্যথা কিংবা পিঠের ব্যথা থেকে মুক্তি দিতে পারে।
৭) প্রাকৃতিক ব্যথা উপশমের পদ্ধতি হিসেবে ঝাল লঙ্কাও দারুণ কাজ দেয়। অনেক ব্যথা উপশমকারী ওষুধেও ক্যাপসাইসিন থাকে। এটি স্নায়ুর উপর কাজ করে ব্যথার অনুভূতি হ্রাস করে।