বাতকর্ম কমানোর দাওয়াই কী? ছবি: শাটারস্টক
গ্যাস পেটে চেপে রাখলে শারীরিক সমস্যা বাড়ে। অগত্যা বাতকর্ম না করলে রেহাই নেই! যত্রতত্র বাতকর্ম কি আপনাকে বিড়ম্বনায় ফেলে? লোকজনের বাঁকা নজর, সমালোচনার লজ্জায় লাল হয়ে যায় মুখ! বিভিন্ন গবেষণায় কিন্তু বলা হয়েছে, বাতকর্ম আদতে সুস্থতার লক্ষণ। বাতকর্ম কেমন হচ্ছে, তার উপর নির্ভর করে আপনার হজমশক্তি আদৌ ঠিক আছে কি না। ছয় ধরনের বাতকর্ম লক্ষ করলেই বোঝা যাবে, আপনি কতটা সুস্থ। ঘন ঘন বাতকর্মের ফলে হার্টের অসুখ, স্ট্রোক, টাইপ টু ডায়বিটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে। ওজনও থাকে নিয়ন্ত্রণে। তবে দিনে ৫ থেকে ৭ বারের বেশি বাতকর্ম হলে সমস্যা হয়। কোনও কিছুই আবার অত্যধিক ভাল নয়। বাতকর্মের সমস্যা কমাতে ডায়েটে কিছু বদল আনতে হবে। খাদ্যাভ্যাসে কোন কোন বদল আরাম দিতে পারে গ্যাস সমস্যায়?
১) ফল: রোজের ডায়েটে ফল রাখা ভীষণ জরুরি। পুষ্টিবিদরা বলছেন, যে যে ফলে কম পরিমাণ ফ্রুকটোজ থাকে, সেই ফলগুলি হজম করা অপেক্ষাকৃত সহজ। আঙুর ও বেরি জাতীয় ফলে শর্করার পরিমাণ তুলনামূলক ভাবে কম থাকে, ফলে এই ফলগুলি হজম করা সহজ।
২) দানাশস্য: হোল গ্রেন খেলে দ্রুত পেট ভর্তি হওয়ার অনুভূতি তৈরি হয়। ফলে অতিরিক্ত খাবার খেয়ে ফেলার সমস্যা কমে। পাশাপাশি হোল গ্রেনে থাকে ভিটামিন ই, জিঙ্ক ও নিয়াসিনের মতো উপাদান, যা ক্যানসার ও হৃদ্যন্ত্রের সমস্যার আশঙ্কা কমাতে সহায়তা করে। এই প্রকার খাবার হজমেও সাহায্য করে।
৩) শাক ও কাঁচা সব্জি: শাকসব্জিতে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। থাকে ভিটামিন সি, ভিটামিন কে এবং ভিটামিন এ। বিভিন্ন ফাইবারসমৃদ্ধ সব্জি খেলে মল সুগঠিত হয়। কমে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা।
৪) প্রো-বায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার: বৃহদন্ত্রতে থাকে বেশ কিছু উপকারী ব্যাক্টেরিয়া, যা হজমে সহায়তা করে। প্রো-বায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার খেলে এই ধরনের উপকারী ব্যাক্টেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। ফলে ভাল থাকে পেট। দই, কাফির, কিমচি এই ধরনের প্রো-বায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার।
৫) পর্যাপ্ত জল: জলশূন্যতা বা ‘ডিহাইড্রেশন’ পেটের সমস্যার অন্যতম মূল কারণ। জল কম খেলে তাই বেড়ে যেতে পারে গ্যাস ও পেট ফাঁপার সমস্যা। তাই এই ধরনের সমস্যা কমাতে পর্যাপ্ত জল পান করা বাঞ্ছনীয়।
এ ছাড়াও খাবার সময় ভাল করে চিবিয়ে খাওয়া, জিরা জল, পুদিনা পাতার চায়ের মতো হজমে সাহায্যকারী পানীয় খাওয়ার অভ্যাস শুরু করুন।