অনেক সময় দীর্ঘ ক্ষণ ধরে মিষ্টি না খেলে মন বিষণ্ণও হয়ে পড়ে। ছবি: শাটারস্টক
যাঁরা মিষ্টি খেতে ভালবাসেন, তাঁদের পক্ষে চট করে মিষ্টি ছেড়ে দেওয়া সহজ নয়। তা-ও যদি কেউ মনের জোরে মিষ্টি-চকোলেট-আইসক্রিম ছেড়েও দেন, তা হলেও চায়ে চিনি দেওয়া বা সকাল-বিকেল নানা রকমারি কেক-বিস্কুট খেয়ে ফেলা বন্ধ একেবারে বন্ধ করে দেওয়া বেশ কঠিন। ছেড়ে দিলেও হঠাৎ হঠাৎই মিষ্টির জন্য মন ছটফট করতে শুরু করে। অনেক সময়ে দীর্ঘ সময় ধরে মিষ্টি না খেলে মন বিষণ্ণও হয়ে পড়ে। তখন মনে হয়, এক টুকরো চকোলেট খেয়েই ফেলি! কিন্তু বোঝার আগেই হয়তো গোটা চকোলেটটাই শেষ করে ফেলেন। এ ভাবে ওজন কমানোও হয় না। আবার শরীরে নানা রকম রোগও বাসা বাঁধে।
মনে রাখতে হবে, মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছে কিন্তু মূলত মনের খিদে, শরীরের নয়। খুব খিদে পেলে যে মিষ্টি খেতে ইচ্ছে করে তেমনটা কিন্তু নয়, বরং আমাদের মন ভাল করার জন্যেই মূলত মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছে জাগে। তাই একটু সতর্ক থাকলেই চিনি বাদ দিতে পারবেন রোজকার খাদ্যতালিকা থেকে। কী ভাবে তা সম্ভব, রইল তার হদিস।
১) যখন মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছে করবে তখন এক গ্লাস জল খেয়ে নিতে পারেন। জল খেলে পেট ভরে যায়, মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছে কমে।
২) নিয়মিত মাল্টিভিটামিন খেলে শরীরে জরুরি পুষ্টিগুণের ঘাটতি হবে না। তা হলে মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতাও কমে যাবে। তবে ওষুধ খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
খিদের মুখে সামনে মিষ্টি দেখলে বেশি খেয়ে ফেলার প্রবণতা তৈরি হয়। ছবি:সংগৃহীত
৩) অল্প মাত্রায় বারে বারে খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন। খালি পেটে থাকবেন না। খিদের মুখে সামনে মিষ্টি দেখলে বেশি খেয়ে ফেলার প্রবণতা তৈরি হয়।
৪) প্রোটিন বেশি করে খান। মাছ, মাংস বা ডিম খেলে অনেক ক্ষণ পেট ভরা থাকে। খিদেও কম পায়। খিদের মুখে ডিম সেদ্ধ খেতে পারেন। তা হলে মিষ্টি জিনিস খাওয়ার প্রবণতা দূর হয়। এ ছাড়া ড্রাই ফ্রুটসও খেতে পারেন। বাদামের সঙ্গে কয়েকটা কিশমিশ থাকলে মনও ভরে যাবে, শরীরের ক্ষতিও হবে না।
৫) ফল খান মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছে হলে। স্ট্রবেরি, কমলালেবু, আঙুর বা মোসাম্বির মতো মিষ্টি ফল খেলে আর চিনি খাওয়ারও ইচ্ছে করবে না। মিষ্টি খেতে ইচ্ছে করলে পিনাট বাটার দিয়ে কলা খেতে পারেন। এ ছাড়া দইয়ের সঙ্গে সব রকম ফল মিশিয়ে ফ্রুট স্যালাড কিংবা ফ্রুট চাটও খেতে পারেন।