পেট ভরার মতো খাবার আমরা প্রত্যেকেই খাই। প্রতীকী ছবি।
আধুনিক জীবনযাত্রা ও কর্মব্যস্ততার কারণে খুব নিয়ম মেনে জীবনযাপন করতে আমরা প্রায় অনেকেই পারি না। দিনের স্বভাবে এমন কিছু ভুল আমরা অজান্তেই করে ফেলি যার মাশুল গোনে আমাদের শরীর। যেমন ধরুন ভরপেট খাওয়ার পরেই এমন কিছু কাজ আমরা করি, চিকিৎসকদের মতে, তা একেবারেই করা উচিত নয়।
ডায়েট মেনে চলতে গিয়ে অনেকেই পাত থেকে খাবারের পরিমাণ কিছুটা কমিয়ে ফেলেন। তবু পেট ভরার মতো খাবার আমরা প্রত্যেকেই খাই। কিন্তু ভরপেট খাওয়ার পর এমন কিছু কাজ আমরা করে থাকি যা, আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এমনকি, দিনের পর দিন এমন অভ্যাস বজায় রাখলে তা কিন্তু বড় অসুখের দিকে ঠেলে দিতে পারে আমাদের।
আপনার এই স্বভাবগুলি শরীরের রক্ত সঞ্চালনের অস্বাভাবিকতা থেকে শুরু করে, হার্টের অসুস্থতা, মেদবাহুল্য ইত্যাদি নানা সমস্যা আপনার অজান্তেই ডেকে আনছে। সুতরাং এখন থেকেই সচেতন হোন। দেখে নিন মূলত কোন কোন স্বভাবে এখনই বদল আনা প্রয়োজন।
১) ভরা পেটে ফল খাওয়ার প্রবাদকে মনে রেখে ভরপেট খাওয়ার পরেই ফল খান? তা হলে এই অভ্যাসে বদল আনাই শ্রেয়। এমনিতেই ফল অ্যাসিডিক। ভরপেট খাওয়ার পরেই ফল খেলে শরীরে অ্যাসিডের মাত্রা বাড়ায়। তাই খাওয়ার প্রায় এক-দু’ ঘণ্টা পর ফল খেলে তবেই উপকার পাবেন।
২) খেয়ে উঠে স্নান করা অনেকেরই অভ্যাস। এতে শরীরের রক্ত সঞ্চালনের মাত্রা বেড়ে যায়। ফলে পাকস্থলিতে রক্তের পরিমাণ বাড়ে। তাই খেয়ে উঠেই স্নান করলে হজমের সমস্যা হয়। শরীরের বিপাক হারকেও সমস্যায় ফেলে এই অভ্যাস।
খেয়ে উঠে স্নান করা অনেকেরই অভ্যাস। প্রতীকী ছবি।
৩) ভরা পেটে শরীরচর্চা করার স্বভাব থাকলে সে অভ্যাস ছাড়ুন। অনেকেই আছেন যাঁরা জিমে যাওয়ার আগে প্রাতরাশে ভরপেট খাবার খান। এতে উপকার তো হয়-ই না, উল্টে শরীরকে কষ্ট দেওয়ার পাশাপাশি হজম প্রক্রিয়াকেও ব্যাহত করে তা।
৪) খেয়ে উঠে ঘুমিয়ে পড়াও ভাল নয়। এতে মেদ জমার সম্ভাবনা বাড়ে। বরং খাওয়ার পর অল্প হাঁটাহাঁটি করুন। এতে খাবারকে পাকস্থলী পর্যন্ত পৌঁছতে সাহায্য করাও হবে আবার তাকে হজমের উপযুক্ত করে তুলতে পারবেন।
৫) অনেককে দেখা যায় খাওয়ার পরেই ধূমপান শুরু করেন। এমনিতেই ধূমপান করা একেবারেই উচিত নয়। তার উপর অন্য সময় ধূমপান শরীরের যে পরিমাণ ক্ষতি করে, ভরপেট খাওয়ার পর ধূমপান করলে সে ক্ষতি বেড়ে যায় কয়েক গুণ। কারণ ওই সময় শরীরের বিপাকক্রিয়া শুরু হয়, তখনই তামাকের ধোঁয়া শরীরে গেলে তা আরও বেশি বিপজ্জনক।