Sweets

ওজন বাড়ার ভয়ে ইচ্ছে থাকলেও মিষ্টি খান না? ভয় না পেয়ে কোন মিষ্টিগুলি অনায়াসে খেতে পারেন?

উৎসব মানেই মাছ, মিষ্টি এবং আরও অনেক কিছু। মিষ্টি খেয়েও মোটা হবেন না। সঙ্গে পাবেন বাড়তি কিছু সুবিধা। তবে সবে মিষ্টিতে এই সুযোগ নেই। কোন ধরনের মিষ্টিতে আছে?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০২২ ১৭:০৪
Share:

উৎসব মানেই মিষ্টিমুখ। শরীরের কথা ভেবে অনেকেই মিষ্টি থেকে দূরে থাকতে চান। ছবি: সংগৃহীত

দীপাবলির আনন্দে মেতে উঠেছেন সকলে। চোদ্দ প্রদীপ দেওয়া থেকে চোদ্দ শাক খাওয়া— সবই চলছে জোরকদমে। আলোর উৎসব বলে কথা। দুর্যোগের আশঙ্কা থাকলেও উৎসবের জেল্লা ম্লান হয়নি। উৎসব মানে তো শুধু হুল্লোড় নয়। সেই সঙ্গে রয়েছে পাত পেড়ে খাওয়াদাওয়াও। দুর্গাপুজো থেকে খাওয়াদাওয়ায় অনিয়মের শুরু। চলবে সেই ভাইফোঁটা পর্যন্ত। তার পর কিছু দিনের বিরতি। আবার বড়দিন, নতুন বছর— উৎসবের শেষ নেই।

Advertisement

মন ভরে খেতে কোনও বাধা নেই। তবে তা যেন ওজন বেড়ে যাওয়ার কারণ না হয়। উদ্‌যাপন করুন। তবে শরীরের ক্ষতি না করে। উৎসব মানেই তো বাইরের খাবার খাওয়ার একটা প্রবণতা তৈরি হয়। এত কিছুর মাঝে যেন ফিট থাকার কথা ভুলে গেলে চলবে না। জমিয়ে খেয়েও ফিট থাকার কয়েকটি উপায় রইল।

১) ফিট থাকা মানে উপোস করা নয়। অনেক বারই পুষ্টিবিদরা সে কথা বলেছেন। পর্যাপ্ত খেতে হবে। কী খাচ্ছেন, সে দিকে নজর দেওয়া জরুরি। প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন পর্যাপ্ত পরিমাণে আছে, এমন খাবার বেশি করে খান। ফল, বিভিন্ন ধরনের বীজ এগুলি একটু বেশি করে খান। এতে ভারসাম্য বজায় থাকবে।

Advertisement

২) উৎসব মানেই মিষ্টিমুখ। শরীরের কথা ভেবে অনেকেই মিষ্টি থেকে দূরে থাকতে চান। কিন্তু মন এ ক্ষেত্রে সব সময় সঙ্গ দেয় না। ‘সুইট টুথ’ অনেকেরই আছে। মনকে রসনাতৃপ্তি দিতে সন্দেশ, গোলাপ জামের বদলে বিকল্প হিসাবে বেছে নিতে পারেন কিশমিশ, খেঁজুরের মতো স্বাস্থ্যকর কিছু ফল

৩) মিষ্টি খেয়েও ওজন হাতের মুঠোয় রাখা সম্ভব। জেনে নিতে হবে কোন মিষ্টিগুলি আপনি খেতে পারেন। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, দুধ দিয়ে তৈরি কিছু মিষ্টি খাওয়া যেতে পারে। সন্দেশ, মিষ্টি দই, শ্রীখণ্ড— এই মিষ্টিগুলির মূল উপকরণ দুধ। দুধে থাকা ক্যালশিয়াম এবং প্রোটিন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।

পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, দুধ দিয়ে তৈরি কিছু মিষ্টি খাওয়া যেতে পারে। ছবি: সংগৃহীত

৪) বলিউডের বহু ফিটনেস সচেতন অভিনেতারা বার বারই বলেছেন, রোগা হওয়ার পর্বে খাবারের পরিমাণ কমানোটা গুরুত্বপূর্ণ। ওটাই সবচেয়ে জরুরি। অনেক ভারী খাবারও পরিমাণে কম খেয়ে রোগা থাকা যায়।

৫) উৎসব এলেই জল খাওয়ার পরিমাণ কমে যায়। জল ছাড়া অন্য সব পানীয়ের প্রতি ভালবাসা বেড়ে যায়। উৎসব-উদ্‌যাপনে মদ্যপানও চলে দেদার। সেই সঙ্গে নানা ধরনের নরম পানীয়ের গ্লাসে চুমুক দেওয়া তো রয়েছেই। এতে শরীরে জলের ঘাটতি তৈরি হয়। ফিট থাকতে চাইলে এমন করলে চলবে না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement