কোন কোন ঘরোয়া কৌশলে মিলতে পারে উপশম ছবি: সংগৃহীত
মানুষের সামগ্রিক সুস্থতায় ক্রমেই বাড়ছে মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব। পরিসংখ্যান অনুসারে গোটা বিশ্বে প্রায় ২৭ কোটি মানুষ মানসিক উদ্বেগজনিত সমস্যায় আক্রান্ত। বিভিন্ন রকমের ভয়, অবসাদ, কাজকর্মে অনীহা থেকে মেলামেশার সমস্যা, মানসিক অসুস্থতার লক্ষণ একাধিক। এই ধরনের সমস্যা অবহেলা করলে তা ডেকে আনতে পারে হৃদ্রোগ, ডায়াবিটিস কিংবা হরমোনের সমস্যাও। দেখে নিন কোন কোন ঘরোয়া কৌশলে মিলতে পারে উপশম।
প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
১। নিয়মিত ঘুম: অনিদ্রার সমস্যা আর মানসিক অবসাদের মধ্যে একটি চক্রাকার সম্পর্ক রয়েছে। একটি সমস্যা অন্যটিকে ডেকে আনে। ফলে যতই কাজ থাকুক, সেই কাজের ছাপ যেন কোনও মতেই আপনার ঘুমের উপর এসে না পড়ে। এক জন পূর্ণবয়স্ক মানুষের প্রত্যহ ছয় থেকে আট ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন।
২। লিখে রাখুন মনের কথা: মনের মধ্যে এমন অনেক কথা চলতে থাকে যা অনেকেই কারও কাছে বলে উঠতে পারেন না। আনন্দ, বিষাদ, আশা, নিরাশা, স্বপ্ন সবই লিখে রাখতে পারেন ডায়েরিতে। এই অভ্যাস মানসিক চাপের সমস্যায় দীর্ঘ মেয়াদি ভিত্তিতে উপশম দিতে পারে।
৩। নিজেকে সময় দিন: সারা দিনে এমন একটি সময় বার করুন যে সময়টুকু হবে একান্তই আপনার। যে যে কাজ করতে আপনার ভাল লাগে তাই করুন এই সময়ে। বিভিন্ন ধরনের সৃজনশীল কাজে মনোনিবেশ করতে পারেন। গান শোনা, গান গাওয়া, আবৃত্তি করা বা কিছু ক্ষণের জন্য হেঁটে আসা, বই পড়ার মতো কাজ করুন আপন খেয়ালে। কোনও রকম তাড়াহুড়ো করার প্রয়োজন নেই। এই সময়টা শুধুই আপনার।
৪। শরীরচর্চা করুন নিয়মিত: একাধিক গবেষণা বলছে, নিয়মিত শরীরচর্চা শুধু শরীর নয়, ভাল রাখে মনও। করতে পারেন প্রাণায়াম ও যোগাভ্যাসও। এতে হৃদ্যন্ত্রের উপর চাপ এবং মানসিক অস্থিরতা দু’ই অনেকটা কমবে।
৫। প্রকৃতির কাছে যান: অনেক সময় বন্ধু-বান্ধব কিংবা পরিবার-পরিজন, কেউ-ই মনের অসুখে আরাম দিতে পারে না। তখন আরাম দিতে পারে প্রকৃতি। পাহাড়, সমুদ্র কিংবা জঙ্গল। রোজকার জীবন থেকে বিরতি নিয়ে চলে যেতে পারে প্রকৃতির কোলে।
তবে মনে রাখবেন, কখনও কখনও মানসিক অবসাদ এমন পর্যায়ে পৌঁছে যায়, যে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ছাড়া উপশম সম্ভব নয়। তাই মনের অসুখ কোনও মতেই অবহেলা করা চলবে না।