মেরিলিন মনরোর কোন পোশাক পরতে ৭ কেজি ঝরালেন কিম ছবি: সংগৃহীত
১৯৬২ সালে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট কেনেডির ৪৫তম জন্মদিনে গান গাওয়ার সময়ে ঝলমলে পিঠ খোলা পোশাকটি পরেছিলেন সে দেশের নামী অভিনেত্রী মেরিলিন মনরো। মেরিলিনের পরা সেই পোশাক কার্যত পর্যবসিত হয়েছিল কিংবদন্তিতে। সে এক বারের পর আর কখনও পোশাকটি পরতে দেখা যায়নি কাউকে। কিন্তু এ বার সেই ঐতিহাসিক পোশাক জাদুঘর থেকে বার করে গায়ে চাপালেন কিম কার্দাশিয়ান।
এই সেই পোশাক। ছবি: সংগৃহীত
মেরিলিন মনরোকে নিয়ে অন্ত নেই গল্পগাঁথার। শোনা যায় সে সময়ে এ ধরনের পোশাক নিয়ে ছুৎমার্গের অন্ত ছিল না আমেরিকায়। সম্প্রচারকারী সংস্থাও তীব্র আপত্তি করেছিল তার এই পোশাকটি নিয়ে। কিন্তু স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে সে সব আপত্তিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ফরাসি পোশাকশিল্পী জিন লুইসের তৈরি পোশাকটি পরে মঞ্চে ওঠেন মেরিলিন। তার পর এই গাউনটি রাখা ছিল অতি যত্নে। আমেরিকার একটি জাদুঘর ২০১৬ সালে ৪৮ লক্ষ আমেরিকান ডলারে কিনে নেয় পোশাকটি। ভারতীয় মুদ্রায় তখন তার বাজার মূল্য ৩৬ কোটি টাকা।
সে সময় থেকে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণতা ও ৪৫ শতাংশ আর্দ্রতায় অন্ধকার একটি ঘরে রক্ষিত ছিল পোশাকটি। হাত মোজা ছাড়া ধরাও যেত না।
মেট গালায় পরার জন্য জাদুঘর থেকে পোশাকটি ধার করেন কিম। পোশাকটি পরতে কিম ৭ কেজি ওজন ঝরিয়েছেন বলেও খবর। মেট গালার আগে পর্যন্ত গোটা বিষয়টি পুরোপুরি গোপন রাখা হয়। কিন্তু মেট গালায় বিষয়টি সামনে আসতেই দেখা দিয়েছে তীব্র প্রতিক্রিয়া। বিষয়টি বেশ অপছন্দ হয়েছে ভক্তদের একাংশের। কেউ কেউ একে সস্তায় জনপ্রিয়তা পাওয়ার ফন্দি বলে মন্তব্য করেছেন। কেউ আবার বলেছেন, পোশাকটি জাদুঘর থেকে বার করা একেবারেই উচিত হয়নি।
সমালোচনা শুরু হতেই কিমের সাফাই, পোশাকটি নাকি তিনি পরেছিলেন শুধু মিনিট খানেকের জন্য। এমনকি পোশাকটির যাতে কোনও ক্ষতি না হয়, তাই শরীরে কোনও রকম প্রসাধনী সামগ্রীও ব্যবহার করেননি তিনি। পোশাকটি পরে কয়েক মুহূর্ত ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানো ছাড়া, অন্য কিছুই করেননি বলেও দাবি কিমের। এমনকি, সেই গাউন পরে বিশেষ হাঁটাহাঁটি করেননি। কোথাও বসেননি বলেও দাবি কিমের!