শরীরে টক্সিনের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে? ছবি: সংগৃহীত।
দৈনন্দিন জীবনে একই ধরনের কাজ করতে করতে যেমন আমরা ক্লান্ত হয়ে পড়ি, তেমনই আমাদের শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলিও প্রতিনিয়ত কাজ করতে করতে হাঁপিয়ে ওঠে। তাদেরও বিশ্রাম চাই। অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলিকে বিশ্রাম দিতেই পুষ্টিবিদরা ডিটক্স ডায়েটের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। ডিটক্স ডায়েটে মূলত উপবাস ও পানীয়ের উপর থাকতে হয়। শরীরে যে সব টক্সিন মল, মূত্র ও ঘামের সঙ্গে বেরিয়ে যেতে পারে না, সেগুলিকে শরীর থেকে বের করে দেওয়াই এই ডায়েটের মূল লক্ষ্য! সুস্বাস্থ্যের পাশাপাশি ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্যের উন্নতিও এই ডায়েট দারুণ উপকারী।
জ্যৈষ্ঠের প্রখর তাপে প্রাণ যায় যায় অবস্থা। এই সময় তেল মশলাদার, ভাজাভুজি খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শই দিচ্ছেন স্বাস্থ্যবিদরা। গরমে নিত্যদিন পেটের সমস্যা কিংবা গ্যাসের সমস্যা লেগেই রয়েছে। এই সব সমস্যা সরিয়ে শরীর সারিয়ে তুলতে ডিটক্স ডায়েটের জুড়ি মেলা ভার।
শরীরে অতিরিক্ত বর্জ্য পদার্থ জমা হলে শরীর নিজেই সে কথা জানান দেয়। জেনে নিন, কোন কোন উপসর্গ দেখে বুঝবেন শরীরের ডিটক্স প্রয়োজন।
আপনার শরীরের কি ডিটক্স প্রয়োজন? ছবি: সংগৃহীত।
১) হঠাৎ ওজন বেড়ে গেলে অনেকেই চিন্তিত হয়ে পড়েন। এই লক্ষণ দেখে বুঝতে হবে, শরীরের ডিটক্সিফিকেশন প্রয়োজন।
২) কাজের মাঝে ঝিমিয়ে পড়ছেন? পর্যাপ্ত ঘুমোনোর পরেও ক্লান্তি কাটছে না? শরীরে টক্সিনের মাত্রা বেড়ে গেলে এমনটা হতে পারে।
৩) অফিসের কাজে কিছুতেই মনোযোগ দিতে পারছেন না? কিছুই মনে রাখতে পারছেন না? শরীরে বর্জ্য পদার্থের পরিমাণ বেড়ে গেলে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা কমে যেতে পারে। কোনও কারণ ছাড়াই মনমেজাজ বিগড়ে যায়। গরম কালে এই সমস্যা বেশি হয়। এ ক্ষেত্রেও বুঝতে হবে শরীরে টক্সিনের মাত্রা বেড়েছে।
৪) টক্সিন-জাতীয় পদার্থ শরীরে জমতে থাকলে আপনি ঘন ঘন অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। এ ক্ষেত্রে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। তাই এ ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা নিতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শে ‘ডিটক্স’ ডায়েট শুরু করতে পারেন।
৫) শরীরে টক্সিনের পরিমাণ বেড়ে গেলে ত্বকে সংক্রমণও হতে পারে। পেটের গন্ডগোল, মাথা ব্যথাও হতে পারে শরীরে টক্সিন মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে গেলে।