কিডনি বিকল হয়ে যাচ্ছে কি? ছবি: সংগৃহীত।
অস্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া, ক্রমাগত রাত জাগা এবং পর্যাপ্ত জল না খাওয়ার ফলে ক্ষতি হতে পারে কিডনির। যে হেতু মানব শরীরে কিডনির সংখ্যা দু’টি, তাই একটি বিকল হলেও কাজ চলতে পারে অন্যটি দিয়ে। ফলে কিডনিতে পাথর জমা ছাড়া অন্য আর কোনও ক্ষতির আঁচ পাওয়া যায় না বাইরে থেকে। সময় থাকতে কিডনির সমস্যা ধরা না পড়লে সেরে ওঠার সম্ভাবনাও কমতে থাকে। এ ক্ষেত্রে বয়স অবশ্যই বড় একটা সমস্যা। সঙ্গে যদি উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবিটিস এবং কিডনি বিকল হওয়ার পারিবারিক ইতিহাস থাকে তা হলে প্রতি বছর কিডনির কার্যকারিতা পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া জরুরি। তা ছাড়াও শরীরের এমন কিছু লক্ষণ রয়েছে যা কিডনির স্বাস্থ্য কেমন রয়েছে, সে সম্পর্কে ইঙ্গিত দিতে পারে। জানেন, সেই লক্ষণগুলি কী?
কিডনি বিকল হওয়ার লক্ষণ। ছবি: সংগৃহীত।
১) শুষ্ক ত্বক
কিডনি সুস্থ না থাকলে তার প্রভাব ফুটে ওঠে ত্বকে। শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বার করার পাশাপাশি রক্তে পর্যাপ্ত পরিমাণে লোহিত কণিকা উৎপাদন করা, বিভিন্ন খনিজের ভারসাম্য বজায় রাখা, হাড়ের স্বাস্থ্য— সবই নির্ভর করে কিডনির উপর। রক্তে বিভিন্ন উপাদান সঠিক মাত্রায় না থাকলে, ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়ে।
২) প্রস্রাবের বেগ
খুব বেশি জল না খেলেও বার বার প্রস্রাবের বেগ আসাও কিন্তু কিডনি বিকল হওয়ার একটি লক্ষণ হতে পারে। পুরুষদের ক্ষেত্রে এই লক্ষণ কখনও কখনও প্রস্টেটের সমস্যারও ইঙ্গিত দেয়।
৩) চোখের ফোলা ভাব
পর্যাপ্ত ঘুমোনোর পরেও যদি চোখের তলায় ফোলা ভাব না কমে, তা হলে বুঝতে হবে কিডনির কার্যকারিতায় কোনও সমস্যা হচ্ছে। রক্ত থেকে পুষ্টিকর পদার্থ ছেঁকে দূষিত পদার্থ বার করতে পারছে না কিডনি। ফলে রক্তের মধ্যে থাকা প্রোটিন মিশে যাচ্ছে মূত্রের মধ্যে। যার ফলস্বরূপ চোখের চারপাশে এই ধরনের ফোলা ভাব দেখা দিতে পারে।
৪) পা ফোলা
পা ঝুলিয়ে বসে থাকলে অনেক সময় পায়ের পাতা ফুলে যায়। শরীরে ফ্লুইডের পরিমাণ যদি বেড়ে যায়, সে ক্ষেত্রে এমন সমস্যা দেখা দিতে পারে। শুধু কিডনি বিকল হলেই যে পায়ের পাতা ফুলে যেতে পারে, তা নয়। হার্টের সমস্যা থেকেও পা ফুলতে পারে।
৫) খিদে না পাওয়া
কিডনি ঠিক ভাবে কাজ না করলে খাওয়ার ইচ্ছে চলে যেতে পারে। তবে পা ফোলার মতো এমন সমস্যা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। কিডনি স্বাভাবিক ভাবে কাজ না করলে শরীরে ‘টক্সিন’-এর পরিমাণ বেড়ে যায়। যার ফলে খাওয়ার ইচ্ছে হ্রাস পেতে পারে।